Army helicopter crash: অরুণাচল প্রদেশে সেনা হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার নেপথ্যে প্রযুক্তিগত ত্রুটি, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক যা জানাল

জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনার আগে ওই হেলিকপ্টারের থেকে একটি ‘মে ডে কল’ এসেছিল এয়ারট্রাফিক কন্ট্রোলে। যেখানে বলা হচ্ছে, কোনও গঠনগত বা মেকানিক্যাল সমস্যা সেখানে রয়েছে। উল্লেখ্য, এই ‘মে ডে কল’ হল এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলকে জানান দেওয়া যে সেই আকাশযানটি বিপদে রয়েছে। আর তার হাত ধরেই সহায়তায় উদ্যোগ নেয় এটিসি।

ভারতীয় সেনার হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা (ANI) (HT_PRINT)

অরুণাচল প্রদেশে সেনা হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় সম্ভাব্য কারণ হিসাবে উঠে আসছে প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণ। উল্লেখ্য, এই মর্মান্তিক ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৫ জন। অরুণাচল প্রদেশের টুটিংয়ে এই দুর্ঘটনায় প্রযুক্তিগত কারণকে দায়ী করে তথ্য দিয়েছে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল। জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনার কিছুক্ষণ আগে একটি প্রযুক্তিগত ত্রুটি দেখা যায়।

জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনার আগে ওই হেলিকপ্টারের থেকে একটি ‘মে ডে কল’ এসেছিল এয়ারট্রাফিক কন্ট্রোলে। যেখানে বলা হচ্ছে, কোনও গঠনগত বা মেকানিক্যাল সমস্যা সেখানে রয়েছে। উল্লেখ্য, এই ‘মে ডে কল’ হল এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলকে জানান দেওয়া যে সেই আকাশযানটি বিপদে রয়েছে। আর তার হাত ধরেই সহায়তায় উদ্যোগ নেয় এটিসি। এদিকে, সেনার যে হেলিকপ্টারটি দুর্ঘটনা গ্রস্ত হয়েছে সেটি ভেঙে পড়ে অরুণাচল প্রদেশের মিগিং গ্রামে। যে এলাকা টুটিংয়ের দক্ষিণে। উল্লেখ্য, গেলিকপ্টার থেকে ৪ জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। তবে পঞ্চম জনকে এখনও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। প্রতিদিনের রুটিন মেনে লিকাবালি মিলিটারি স্টেশন থেকে এই হেলিকপ্টার উড়ছিল। তারপর তা দুর্ঘটনা গ্রস্ত হয়ে পড়ে। অ্যাডভান্সড লাইট হেলিকপ্টার পড়ে যায় দুর্ঘটনার কবলে। এই বিশেষ হেলিকপ্টার ২০১৫ সালে সেনায় প্রবেশ করে। এই হেলিকপ্টার তৈরি হয়েছিল তাদের জন্য যেখানে সেনা কর্মীরা যাঁরা চিন সীমান্তে পাহাড়া দিচ্ছেন, তাঁদের জন্য এই বিশেষ হেলিকপ্টার তৈরি হয়। জানা গিয়েছে, চিন সীমান্ত থেকে ৩৫ কিলোমিটারের মধ্যে এই দুর্ঘটনা ঘটে যায়। 

পড়ুন অন্যরকমের খবর-ধনতেরাসে প্রদীপ জ্বালিয়ে এই কাজটি ভুলছেন না তো! কোন ‘ফাঁড়া’ কাটে এতে?

জানা গিয়েছে, এই দুর্ঘটনার পর মুহূর্তেই সেনার বায়ুসেনার সেক্টর আসে এলাকায়। রুদ্ধশ্বাস তৎপরতার সঙ্গে শুরু হয়ে যায় খোঁজ তল্লাশি। জানা যায় এই এলাকায় ঘন জঙ্গল ও পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় হেলিকপ্টার চালানো হয়ে যায় কঠিন। তবে বলা হচ্ছে যে আবহাওয়ায় ওই হেলিকপ্টার আকাশপথে চলেছে সেই আবহাওয়া যান চালানোর পক্ষে ভালো ছিল। ফলে গোটা ঘটনাই যে প্রযুক্তিগত কারণে ঘটেছে তা বলাই বাহুল্য।