১১ ঘণ্টায় ২৪ কিমি হেঁটে সমুদ্রপৃষ্ঠের থেকে ১৪,৫০০ ফিট উচ্চতায় প্রান্তিক পাহাড়ি গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে দেখা করলেন অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডু।
দীর্ঘ ট্রেকিংয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গী ছিলেন শুধু এক নিরাপত্তারক্ষী ও কয়েক জন গ্রামবাসী। একাধিক গিরিপথ পেরিয়ে দুর্গম পাহাড়ি চড়াই-উতরাই অতিক্রম করে তাওয়াং জেলায় নিজের নির্বাচন কেন্দ্র মুক্তর লুগুথাং গ্রামে এসে পৌঁছন ৪১ বছর বয়েসি মুখ্যমন্ত্রী। এই গ্রামের খুব কাছেই রয়েছে ভারত ও তিব্বতের মধ্যে বিভাজনরেখা, ম্যাকমোহন লাইন।
গত বৃহস্পতিবার টুইট করেন খান্ডু, '২৪ কিমি ট্রেক, ১১ ঘণ্টা টাটকা বাতাস সেবন এবং প্রকৃতি মায়ের অপার সৌন্দর্য; তাওয়াং জেলার ১৪,৫০০ ফিট উচ্চতার লুগুথাং গ্রামে পৌঁছানোর পথে পেরোলাম ১৬,০০০ ফিট উচ্চতার কার্পু লা গিরিপথ। এক অকৃত্রিম স্বর্গোদ্যান।’
মাত্র ১০টি পরিবারের বাস লুগুথাং গ্রামের জনসংখ্যা ৫৮ (২০১১ সালের জনগণনা রিপোর্ট অনুযায়ী)। বাসিন্দাদের অনেকেরই পেশা ইয়াক পালন। এই গ্রামে দুই রাত কাটালেন মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডু। গাড়ি চলাচলের রাস্তা এখানে পৌঁছয়নি, তাই ৮ সেপ্টেম্বর আবার হেঁটেই ফিরেছেন তিনি।
রাজধানী ইটানগরে ফিরে মুখ্যমন্ত্রী টুইট করেন, ‘গ্রামবাসীদের জন্য উন্নয়ন প্রকল্প যেন প্রত্যন্ত এলাকার শেষ বাসিন্দাটিও পান, তা সুনিশ্চিত করতে পর্যালোচনামূলক বৈঠকে বসব।’
এই যাত্রায় তাঁর প্রয়াত পিতা তথা অরুণাচলের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দোরজি খান্ডু স্মরণে তাওয়াং জেলার জাংচুব স্তূপ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানেও তিনি স্থানীয় বাসিন্দা ও লামাদের সঙ্গে উপস্থিত থাকেন।
২০১১ সালের ৩০ এপ্রিল ১৩,৭০০ ফিট উচ্চতার সে লা গিরিপথ থেকে ফেরার পথে নিখোঁজ হওয়ার ৫ দিন পরে লুগুথাং গ্রামের কাছে পাওয়া যায় হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো দোরজে খান্ডু ও তাঁর সঙ্গীদের দেহ।