চিনা সেনার হেফাজতে থাকা অরুণাচল প্রদেশের ৫ বাসিন্দাকে নিয়ে ভারতের উদ্বেগকে আমংল দিল না বেজিং। উলটে সোমবার চিন সরকার জানিয়েছে, অরুণাচলকে কখনও ভারতের অংশ হিসেবে তারা স্বীকৃতি দেয়নি। বেজিংয়ের মতে, উত্তর-পূর্ব ভারতের এই রাজ্য তিব্বতের অংশ।
এর আগে রবিবার ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফে চিনের কাছে জানতে চাওয়া হয়, অরুণাচলের নিখোঁজ ৫ অধিবাসী পিপলস লিবারেশন আর্মি-র (পিএলএ) হেফাজতে রয়েছেন কি না।
সোমংবার তার জবাবে চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেছেন, ‘চিন-ভারত সীমান্তের পূর্বাংশ এবং চিনের অধীনস্থ দক্ষিণ তিব্বতের চিনা সেনাবাহিনীর অবস্থান অপরিবর্তিত ও স্পষ্ট। আমরা কখনই অবৈধ ভাবে চিনা ভূখণ্ডের উপরে প্রতিষ্ঠিত তথাকথিত অরুণাচল প্রদেশকে স্বীকৃতি দিইনি। আর আপনারা যে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন, সে সম্পর্কে আমার এই মুহূর্তে কোনও ধারণা নেই।’
ভারতীয় সেনার আশঙ্কা, অরুণাচল প্রদেশের টোচ সিংকাম, প্রসাত রিংলিং, ডংটু এবিয়া, তনু বাকের ও ঙারু দিরি জঙ্গলে শিকার অভিযানে বেরিয়ে চিনা সেনার খপ্পরে পড়েন ও তাঁদের অপহরণ করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারি মাসে অরুণাচলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সফর ঘিরে অসন্তোষ প্রকাশ করে বেজিং। তাদের দাবি, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সুযোগ নিয়ে চিনের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে সংকট তৈরি করেছে দিল্লি।
তার আগে ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে ওই রাজ্যে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সফরেরও নিন্দা করেছিল চিন। তাদের দাবি, অরুণাচল প্রদেশ আসলে ভারতের দ্বারা অধিকৃত তিব্বতের দক্ষিণাংশের অন্তর্গত।
সংবাদসংস্থা রয়টার্সকে ভারতীয় সেনার মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল হর্ষ বর্ধন পান্ডে জানিয়েছেন, নিখোঁজ ৫ অরুণাচলবাসীর খোঁজে পিএলএ-র সঙ্গে হটলাইনে যোগাযোগ করা হয়। গভীর অরণ্যের মধ্যে দিয়ে যাওয়া সীমান্তরেখা প্রায়ই গুলিয়ে ফেলে অতিক্রম করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁর আশঙ্কা, এই ভাবেই চিনা সেনার পাহারায় থাকা এলাকায় ঢুকে পড়েছিলেন ওই পাঁচ জন। তখনই তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে।