দিল্লিতে অক্সিজেনের ঘাটতি মেটাতে এবার বাংলার সাহায্য চাইবেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। বৃহস্পতিবার এই চিন্তাভাবনার কথা নিজেই জানিয়েছেন তিনি।শুধু বাংলা থেকেই নয়, ওড়িশা থেকেও অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর।যাতে দ্রুত অক্সিজেন সিলিন্ডার দিল্লির বিভিন্ন হাসপাতালে পৌঁছোতে পারে, সেজন্য সড়কপথে নয়, বিমানে অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন কেজরিওয়াল।
বৃহস্পতিবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দিল্লিতে মারাত্মক অক্সিজেনের সংকট তৈরি হয়েছে।দিল্লির জন্য অক্সিজেনের কোটা ৩৭৮ মেট্রিকটন থেকে বাড়িয়ে ৪৮০ মেট্রিক টন করা হলেও দিল্লিতে প্রতিদিন প্রয়োজন ৭০০ মেট্রিক টনের। অক্সিজেন কোথা থেকে পাওয়া যাবে সেজন্য দিল্লিকে কেন্দ্রের ওপর নির্ভর করতে হয়। কেন্দ্রের তরফে এখন যে কোটা মঞ্জুর করা হয়েছে, তার বেশ কিছুটা অংশ ওড়িশা থেকে আসে। ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ থেকে যদি সড়কপথে অক্সিজেন সিলিন্ডার আনতে হয়, তাহলে বেশ কয়েকদিন সময় লাগবে। কিন্তু দিল্লির এখন যা পরিস্থিতি তাতে অত সময় দেওয়া যাবে না। সেই কারণেই বিমানে অক্সিজেন নিয়ে আসার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।’ দিল্লি সরকারের এক আধিকারিক জানান, দিল্লির জন্য নির্ধারিত ৪৮০ মেট্রিক টনের মধ্যে ১০০ মেট্রিক টন আসছে ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ থেকে।এই দুই রাজ্য থেকে যদি সড়কপথে অক্সিজেন সিলিন্ডার আসে, তাহলে ৭২ ঘণ্টা সময় লাগবে।আমাদের শহরের, হাসপাতালের যা পরিস্থিতি, তাতে এত সময় দেওয়া যাবে না।এখনও পর্যন্ত হরিয়ানা থেকে ১৪০ মেট্রিক টন অক্সিজেন সিলিন্ডার আসা বাকি।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেন, ‘সব রাজ্যকেই একত্রিতভাবে করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হবে। একে অপরের সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসতে হবে।দেশ একটা খুব সংকটজনক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে চলছে। এই পরিস্থিতিতে প্রত্যেক রাজ্য যদি নিজেদের স্বার্থের কথা চিন্তা করে, তাহলে দেশকে রক্ষা করা যাবে না। দেশের কথা আগে চিন্তা করতে হবে। এখনই সময় একে অপরকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসার।তবেই দেশ বাঁচবে।’ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, দিল্লি সরকার আরো বেশি করে বেড, অক্সিজেন সিলিন্ডার ও স্বাস্থ্য পরিষেবা বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে।লকডাউনের মধ্যে এই সব পরিকাঠামো তৈরি হয়ে যাবে।