জয়দীপ ঠাকুর
চলতি বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর বিএসএফের হাতে ধরা পড়েন বাংলাদেশের ১৯ জন অনুপ্রবেশকারী। তাদের মধ্যে ১৩ জন মহিলা। বিএসএফ তাদের তুলে দেয় বাংলাদেশের বিজিবির হাতে। শুধু এই ঘটনাই নয়, এমন বহু উদাহরণ রয়েছে বাংলাদেশের সীমান্ত জুড়ে, যেখানে বাংলাদেশ থেকে আসা অনুপ্রবেশকারীদের অনেক সময়ই শুধুমাত্র সৌভ্রাতৃত্ব ও সদ্ভাবনার কারণে বিজিবির হাতে তুলে দেয় ভারত।
উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তে এমন বেশ কয়েকজন বাংলাদেশের অনুপ্রবেশকারীকে বছরের বিভিন্ন সময় অবৈধভাবে প্রবেশ করার জন্য ধরা পড়েন বিএসএফের হাতে তবে তাদের মধ্যে অনেককেই গ্রেফতার না করে বাংলাদেশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। বিএসএফের দক্ষিণ বঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের তরফে একটি পরিসংখ্যানে বলা হচ্ছে, ২০১৭ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে ইন্দো বাংলা সীমান্তে ১১৭৫০ জন এমন অবৈধ অনুপ্রবেশকারীকে ধরে বিএসএফ। তাদের মধ্যে ১,১৭৮ জনকে গ্রেফতার করেনি ভারত। মৈত্রী ও সদ্ভাবনার বাতাবরণকে ধরে রাখতেই এই উদ্যোগ। পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৭ সালে ৩৭৮ জনকে বাংলাদেশের বিজিবির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ২০১৮ সালে সেই সংখ্যা ছিল ২৯৭, ২০১৯ সালে তা ২২ এ দাঁড়ায়, ২০২০ সালে সংখ্যাটি ৫১ তে দাঁড়ায়, এরপর ২০২১ সালে তা ১৩৫ হয় ও পরে ২০২২ সালের ১২ অক্টোবর পর্যন্ত তা ২৯৫ হয়।
পড়ুন অন্যরকেমর খবর-শুধু সোনার গয়না পরিষ্কারই নয়, এগুলি পরিচ্ছন্ন করলেও ভাগ্যে অর্থবর্ষণ লেগে থাকে
পরিসংখ্যানের এই তারতম্য থেকে বহু প্রশ্ন উঠকেই পারে। বিএসএফ বলছে, কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির ওপর এই গোটা বিষয়টি নির্ভর করে। আগে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী ইস্যুতে অনেক বেশি ছাড় ছিল কেন্দ্রের তরফে, তবে বর্তমানে এই ইস্যুতে নীতি আটোসাঁটো হয়েছে। বিএসএফ বলছে, ‘কেন্দ্র কঠোর নীতি নেওয়ায় অনেক বেশি সংখ্য়ক মানুষ গ্রেফতার হচ্ছেন’ অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপারের ক্ষেত্রে। তবে বলা হচ্ছে, ‘গত ৩ থেকে ৪ বছরে কেন্দ্র আরও নরম হয়েছে, যাদের অপরাধের কোনও রেকর্ড নেই তাদের ছেড়ে দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে।’ গোটা পরিসংখ্যানের হিসাব করলে দেখা যাবে, ধৃত প্রতি ১০ জনের মধ্যে ১ জন বাংলাদেশীকে বিএসএফ প্রতি বছরই তুলে দিচ্ছে বাংলাদেশের বিজিবির হাতে। আর তা শুধুই সৌভ্রাতৃত্ববোধের জন্য।