ফের দুর্যোগের ঘনঘটা অসমে। আবার শুরু হয়েছে তুমুল বৃষ্টি। তার সঙ্গেই একের পর এক জায়গায় ধস নামছে।গুয়াহাটির শহরের বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন হয়ে যাচ্ছে ক্রমশ।তবে বুধবার নতুন করে কোনও হতাহতের খবর নেই। এদিকে চলতি বছরেই বন্যা ও ধসের জেরে অসমে ৪২জনের প্রাণ গিয়েছে। এমনকী মাটির নীচে চাপা পড়েও চারজনের মৃত্য়ু হয়।
এদিকে প্রচন্ড বৃষ্টির জেরে শহরের বিভিন্ন রাস্তা জলের তলায় চলে গিয়েছে। অনিল নগর, নবীন নগর, রাজগড় লিঙ্ক রোড, রুক্মিনীগাঁও, হাতিগাঁও, কৃষ্ণনগর এলাকা জলে ভেসে গিয়েছে। এদিকে এনডিআরএফ ও এসডিআরএফকে মোতায়েন করা হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় বহু মানুষ জলবন্দি হয়ে গিয়েছেন। তাঁদের উদ্ধার করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এদিকে অসম বিদ্য়ুৎ বন্টন কোম্পানি লাগাতার কাজ করছে যাতে শহরে বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক থাকে। এদিকে বিভিন্ন দূর্গত এলাকায় পানীয় জলের সংকট শুরু হয়েছে। সেখানে জলের গাড়ি পাঠানো হয়েছে। জরুরী কাজ না থাকলে রাস্তায় বেরতে বারন করেছে কামরূপ মেট্রোপলিটন জেলা প্রশাসন।
কামরূপের ডেপুটি কমিশনার পল্লব গোপাল ঝা নির্দেশ জারি করেছেন যে স্কুল, কলেজ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে হবে। আঞ্চলিক আবহাওয়া দফতর ইতিমধ্যে অসম ও মেঘালয়ের জন্য লাল সংকেত জারি করেছে। মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সেখানে ভারী বৃষ্টির সতর্কবার্তা রয়েছে। শুক্রবার ও শনিবার কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ব্রহ্মপুত্র ও তার শাখানদীর জল বাড়ছে। তাতে ভেসে গিয়েছে বহু এলাকা।