সারা ভাষণ জুড়ে বারবার ঘুরে ফিরে এল আত্মনির্ভর হওয়ার কথা। নয় নয় করেও ৩২ বার এই শব্দটি বললেন প্রধানমন্ত্রী। স্বাভাবিকভাবেই করোনার কথা এল ২৫ বার। কিন্তু সরাসরি একবারও এল না চিনের নাম। এই নিয়ে ফের মোদীকে তোপ কংগ্রেসের।
কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেন যে প্রধানমন্ত্রী এই বিষয়ে নীরব যে কী ভাবে চিনকে সীমান্তের ওই পাশে পাঠানো হবে। কংগ্রেসের এটাও প্রশ্ন যে আত্মনির্ভরতার বুলি আওড়ালেও ৩২টি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থাকে কেন বেচে দেওয়া হচ্ছে, কেন রেল ও বিমানে বেসরকারিকরণ আনা হচ্ছে।
এদিন কংগ্রেস কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর সুরজেওয়ালা বলেন যে কেন শাসকরা চিনের নাম নিতে ভয় পাচ্ছেন। চিনকে সরিয়ে কীভাবে ভারতের অখণ্ডতা নিশ্চিত করা হবে, সেই প্রশ্নও করেন তিনি। প্রসঙ্গত নিজের বক্তব্য মোদী চিনের নাম না করে বলেন যে ভারতের অখণ্ডতা নিয়ে যারা প্রশ্ন করার চেষ্টা করেছে, তাদের সমুচিত জবাব দেওয়া হয়েছে। সারা বিশ্ব লাদাখে সেটা দেখেছে বলে জানান মোদী।
আত্মনির্ভর থিমের ওপর মোদীর জোর দেওয়ার প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা বলেন যে এই আত্মনির্ভরতার বুনিয়াদ তো সৃষ্টি করেছিলেন জওহারলাল নেহেরু, বল্লবভাই প্যাটেল ও অন্যান্য স্বাধীনতা সংগ্রামীরা। সরকারকে প্রশ্ন করা উচিত যে সব সরকারি সংস্থা বেসরকারি হাতে দিয়ে দিলে দেশের স্বাধীনতা কী করে নিশ্চিত থাকবে, বলেন সুরজেওয়ালা। এর বিরুদ্ধে কংগ্রেস লড়াই করবে ও সেটাই হবে সত্যিকারের জাতীয়তাবাদ, বলে জানান রণদীপ সুরজেওয়ালা।
এদিন কংগ্রেস দফতরে পতাকা উত্তোলন করেন একে অ্যান্টনি। অনুপস্থিত ছিলেন কার্যনির্বাহী সভাপতি সনিয়া গান্ধী, হাজির ছিলেন রাহুল গান্ধী।