দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের হংসরাজ কলেজের ক্যান্টিন এবং হোস্টেলে আমিষ খাবার পরিবেশন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কোভিড লকডাউন শেষ হতে পুনরায় খোলার পর থেকেই আর আমিষ পরিবেশন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। হংসরাজ কলেজের হোস্টেলে প্রায় ২০০ পড়ুয়া থাকেন। তাঁদের মধ্যে অনেকেই নিরামিষাশী। অনেকেই আবার আমিষ খান। এই আবহে কেন ক্যান্টিন বা হোস্টেলে আমিষ খাবার পরিবেশন বন্ধ করা হল? এই প্রশ্নের জবাবে কলেজের প্রিন্সিপালের যুক্তি, কলেজের ৯০ শতাংশ পড়ুয়াই নাকি নিরামিষাশী। (আরও পড়ুন: মাঝ আকাশে মুখ দিয়ে রক্ত বেরিয়ে মৃত্যু যাত্রীর, রুট বদলে জরুরি অবতরণ বিমানের)
প্রসঙ্গত, এর আগে কোভিড আবহে ২০২০ সালের মার্চ মাসে লকডাউনের সাথে সাথেই দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় অফলাইন ক্লাস বন্ধ করে দিয়েছিল। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা সকল কলেজের মতো হংসরাজ কলেজেও তখন আর শ্রেণিকক্ষে পঠন পাঠন হচ্ছিল না। পরে ২০২২ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি ফের একবার হংসরাজ কলেজের শ্রেণিকক্ষে ফেরেন পড়ুয়ারা। এরপর থেকেই নাগি বিগত প্রায় ১১ মাস ধরে ক্যান্টিন বা কলেজের হোস্টেরে আমিষ খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে না।
এই নিয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে তৃতীয় বর্ষের এক পড়ুয়া বলেন, 'আমিষ খাবার বন্ধের কোনও কারণ কলেজ কর্তৃপক্ষ ছাত্রদের দেয়নি।' এদিকে দ্বিতীয় বর্ষের এক পড়ুয়া বলেন, 'লকডাউনের আগে চিকেন পরিবেশন করা হত। কিন্তু লকডাউনের পরে কলেজ আবার চালু হলেও চিকেন পরিবেশন বন্ধ করে দেওয়া হয়। এমনকি তারা আর ডিমও পরিবেশন করছে না।' এদিকে আমিষ না পেয়ে হোস্টের ছাড়ার কথাও ভাবছেন অনেক পড়ুয়া। তাঁদের মধ্যে একজন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'খাবারের বিষয়টা সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের এখানে অনেক আন্তর্জাতিক ছাত্র আমিষভোজী। হংসরাজ হোস্টেল ভালো। কিন্তু কলেজে নন-ভেজ নিষিদ্ধ করার পর আমাকে হোস্টের ছেড়ে চলে যেতে হল।'
আমিষ 'নিষিদ্ধ' হওয়ার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে, হংসরাজ কলেজের অধ্যক্ষ ডঃ রমা শর্মা বলেন, 'আমরা কোভিডের পরে ক্যাম্পাসে আমিষ খাবার বন্ধ করে দিয়েছি; এটা কমিটির সিদ্ধান্ত। যারা আমিষ খেতে চান তারা কলেজ ক্যাম্পাসের বাইরে গিয়ে খেতে পারেন। কলেজের প্রায় ৯০ পড়ুয়া নিরামিষভোজী। নিরামিষভোজী পড়ুয়া বা কর্মচারীরা আগে আমিষ পরিবেশনের জন্য সব জায়গায় বসাতে পারতেন না; তাঁরা অসুবিধার সম্মুখীন হতেন।' আমিষ খাওয়ার বিষয়টিকে তিনি ধূমপানের সঙ্গে তুলনা করেন। তিনি বলেন, 'উদাহরণস্বরূপ, আমি ধূমপান করি না। তবে কেউ যদি আমার সামনে ধূমপান করে, তবে এটি আমাকে বিরক্ত করবে। যারা বাইরে যেতে চান এবং আমিষ খেতে চান, তারা তা করতেই পারেন। এটি তাঁদের ব্যক্তিগত পছন্দ। কিন্তু ক্যাম্পাসে আমিষ খাওয়ার অনুমোদন নেই।'
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup