করোনা ভাইরাসের প্রতিরোধে দেশীয় ভ্যাকসিন ‘বঙ্গভ্যাক্স’ তৈরি করার পথে হেঁটেছে বাংলাদেশ। এবার এই ভ্যাকসিনটিকে পরীক্ষামূলকভাবে মানবদেহের প্রয়োগের অনুমোদন দিল বাংলাদেশ প্রশাসন।
জানা গিয়েছে, প্রথমে এই ভ্যাকসিনটিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬৪ জন সুস্থ মানুষের দেহে প্রয়োগ করা হবে। বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা কেন্দ্র থেকে এই অনুমোদন পেয়েছে ‘বঙ্গভ্যাক্স’–এর উৎপাদনকারী সংস্থা গ্লোব বায়োটেক। জানা গিয়েছে, উৎপাদিত এই ভ্যাকসিনটিকে বেশ কয়েকটি প্রাণীদেহে পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করা হয়। সেখানে সাফল্যলাভের পর এবার মানবদেহের ওপর ভ্যাকসিনটিকে পরীক্ষা করা হবে। ক্লিনিকাল ট্রায়াল শুরু করা প্রসঙ্গে ভ্যাকসিনটির উৎপাদিত সংস্থার কর্নধার ডক্টর মহিউদ্দিন জানান, ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর সংস্থার কারখানা পরিদর্শন করে টিকা উৎপাদনের অনুমোদন দিয়েছিল। ফলে মানবদেহের ওপর প্রয়োগের ক্ষেত্রে বেশি সময় লাগবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।
গ্লোব বায়োটেকের হয়ে ক্লিনিকাল ট্রায়াল পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত মামুন আল মেহতাব জানান, প্রথমে এই টিকাটি যারা প্রাপ্তবয়স্ক ও যাদের কোনও রোগ নেই, তাঁদের দেহে প্রয়োগ করা হবে। এর স্যাম্পেল সাইজ ফাইজার ও মর্ডানা টিকার স্যাম্পেল সাইজের সমান। টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ প্রথমে বঙ্গবন্ধ শেখ মুজিবর রহমান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়েই করা হবে। এর আগে বাংলাদেশে ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিনের ক্লিনিকাল প্রয়োগের অনুমোদন দিয়েছিল বাংলাদেশ প্রশাসন। কিন্তু সেই পরীক্ষামূলক প্রয়োগের কাজ শুরু হয়নি।