ব্যস্ততার জন্য টিকিট না কেটেই ট্রেনে উঠে পড়তে হয় কিছু সময়। কিন্তু সেসব কথা মনে রাখে কে? আর যাত্রার পর ভাড়া মেটানোর কোনও পদ্ধতি রেলের তরফেও নেই। তাই না চেয়েও ‘বেআইনি’ কাজ করে ভুলে যান প্রায় সবাই। কিন্তু ব্যতিক্রম বাংলাদেশের নবিনগর উপজেলার কৌনিককারা গ্রামের বাসিন্দা এমদাদুল হক। গোটা জীবনে যতবার বিনা টিকিটে ট্রেনে যাত্রা করেছেন অবসরের পর তা স্টেশনে গিয়ে শোধ করে এসেছিলেন তিনি।
এমদাদুল সাহেব ছিলেন বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনের কন্সটেবল। খানিকটা আমাদের দেশের সিবিআইয়ের মতো কাজ করে এই সংস্থা। দুর্নীতির সঙ্গে সারা জীবন আপস করেননি ৬৫ বছরের এই বৃদ্ধ। কিন্তু ভিড় বা ব্যস্ততার কারণে কর্মস্থলে যাতায়াতের সময় অনেক সময় চাইলেও টিকিট কেটে ট্রেনে উঠতে পারেননি তিনি। তবে আর পাঁচ জনের মতো সেকথা ভুলে মেরে দেননি। কবে কোথায় বিনা টিকিটে যাত্রা করেছেন তা লিখে রেখেছেন ডায়েরিতে। আর সোমবার স্টেশনে গিয়ে সব টাকা মিটিয়ে এসেছেন তিনি।
‘পুলিশের মধ্যেও আমার লোক আছে’, বিস্ফোরক শুভেন্দু অধিকারী
তিন বছর হল অবসর নিয়েছেন এমদাদুল সাহেব। সোমবার বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনে হাজির হন তিনি। বুকিং অফিসারকে বলেন, বিনা টিকিটে যাত্রার সমস্ত টাকা শোধ করতে চান তিনি। প্রাথমিকভাবে এমন প্রস্তাবে কী করা উচিত বুঝে উঠতে পারেননি বুকিং অফিসার। এমদাদুল সাহেবকে মোট টাকার সমমূল্যের ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে চট্টোগ্রামের অসংরক্ষিত টিকিট কেটে দেন। এভাবে মোট ২,৫৩০ টাকা রেলকে মেটান বৃদ্ধ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনের বুকিং অফিসার জানিয়েছেন, বিনা টিকিটে ট্রেনে ভ্রমণ করা দণ্ডনীয় অপরাধ। কিন্তু বৃদ্ধ নিজে থেকে সেই টাকা পরিশোধ করতে আসায় আমরা আইনি পদক্ষেপ করিনি। তাঁর ইচ্ছা অনুসারেই বকেয়া টাকা নিয়ে তাঁকে টিকিট দিয়েছি।