বাংলাদেশ: জলে ডুবে শিশু মৃত্যু আটকাতে বেনজির পরিকল্পনা সরকারের

বিভিন্ন অঞ্চলে জলে ডুবে শিশু মৃত্যু আটকাতে তৎপর হল বাংলাদেশ সরকার। গোষ্ঠীভিত্তিক শিশু সুরক্ষার মাধ্যমে এই শিশুদের বাঁচাতে নেওয়া হচ্ছে নানা উদ্য়োগ।

বাংলাদেশে প্রতিবছর অসংখ্য শিশুর মৃত্যু হয় জলে ডুবে

সম্প্রতি আমেরিকান সংস্থা ব্লুমবার্গ ফিল্যানথ্রপি ইনস্টিটিউশনের করা এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে জলে ডুবে শিশু মৃত্যু সংক্রান্ত কিছু ভয়াবহ তথ্য। এই সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে, জলে ডুবে মৃত্যু হওয়া ৮০ শতাংশ শিশুর মৃত্যুই হয় সেইসব শিশুদের বাড়ির ২০ মিটারের মধ্যে। বাংলাদেশের মতো নিম্ন আয়ের দেশে এই পরিসংখ্যান আরও ভয়াবহ। বলা হয়েছে, বাংলাদেশে মোট শিশু মৃত্যুর মধ্যে ৪৩ শতাংশ মৃত্যু হয়ে থাকে জলে ডুবে যাওয়ার কারণে। এই পরিসংখ্যান সামনে আসার পরেই বাংলাদেশ সরকার গোষ্ঠীভিত্তিক শিশু সুরক্ষাকেন্দ্র (Community Based Child Care Center) গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ব্লুমবার্গ ফিল্যানথ্রপি ইনস্টিটিউশনের সমীক্ষায় বলা হয়েছে,Community Based Child Care জলে ডুবে শিশু মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় ৮৮ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে পারে। এই সমীক্ষায় বলা হয়েছে, সকালবেলায় নিম্নবিত্ত পরিবারের শিশুদের বাবা মা অধিকাংশ সময়েই পেশার তাগিদে নানা কাজে ব্যস্ত থাকে। ঠিক এই সময়েই এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে।Community Based Child Careসিস্টেমে শিশুর মা’কে তাঁর ঘরোয়া দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার ব্যবস্থা থাকে। যার ফলে একজন মা তাঁর শিশুকে নিজের যত্নে রাখার সুযোগ পান।

বাংলাদেশ সরকার দেশের শিশুদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত রাখতে দেশজুড়েগোষ্ঠীভিত্তিক-শিশু সুরক্ষাকেন্দ্র (Community Based Child Care Center) গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

গত ফেব্রয়ারি মাসে বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের একটি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। এই বৈঠকের সভাপতিত্ব করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠকে ঠিক হয়, দেশজুড়ে ২০০,০০০ জন ৫ বছরের কম বয়সি শিশুর দেখভাল করার জন্য ৮,০০০Community Based Child Care তৈরি হবে। এই কাজে ১৬,০০০ জনকে নিয়োগ করা হবে। নিযুক্ত ব্যক্তিদের সাঁতাj কাটা ও ঘরোয়া নানা কাজের প্রশিক্ষণ দেওয়া দবে।

এই প্রকল্পের মাধ্যমে ৩৬০,০০০ শিশু যাদের বয়স ৬ থেকে ১০ বছরের মধ্যে তাদেরকে সাঁতার শেখানো হবে। এই সেন্টারগুলি ঝুঁকিপূর্ণ বন্যাপ্রবন এলাকায় তৈরি হবে। এই প্রকল্পে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকেও যুক্ত করা হবে। খবর বাংলাদেশ সংবাদমাধ্যম সূত্রে।