আগামী বছরই বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে সাধারণ নির্বাচন। তার আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে ঢাকার রাস্তায় গতকাল মিছিল বের করেছিল সেদেশের বিরোধী দলগুলি। আর সেই মিছিল থেকেই ছড়াল হিংসা। বিরোধী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষে মৃত্যু হল এক পুলিশকর্মীর। এদিকে এক বিক্ষোভকারীরও মৃত্যু হয়েছে এই সংঘর্ষে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঢাকার রাস্তায় পরপর কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটানো হয়। গ্রেফতার করা হয় হাজারেরও বেশি বিরোধী সমর্থকদের। শনিবার বেশ কয়েক ঘণ্টা চলে এই হিংসা।
রিপোর্ট অনুযায়ী, গতকাল বাংলাদেশের দু'টি প্রধান বিরোধী দল - বিএনপি এবং জামাতের প্রায় লক্ষাধিক সমর্থক মিছিল বের করেছিল ঢাকায়। তাদের দাবি ছিল, নির্বাচনের আগে শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রিত্ব ছাড়তে হবে। বদলে গঠন করতে হবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার। বিরোধীদের অভিযোগ, হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন নির্বাচন হলে তা সুষ্ঠু হবে না। এই আবহে হাসিনার সরকারের পদত্যাগের দাবিতে মিছিল বের হয়। সেই মিছিল পুলিশের বাধা পেতেই হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। ঢাকায় পুলিশ হাসপাতালে হামলা চালায় বিরোধী সমর্থকরা। পুলিশের যানবাহনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এমনকী বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির বাসভবনেও হামলা চালানো হয়।
এদিকে বিরোধীদের দাবি, তারা শান্তিপূর্ণ মিছিলের ডাক দিয়েছিল। পুলিশই তাদের ওপর হামলা চালায়। এই আবহে হিংসার বহু ভিডিয়ো ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাতে দেখা যায়, পুলিশ বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাসের শেল ও রবারের গুলি ছুড়ছে। এদিক বিক্ষোভকারীরাও পালটা পাথর ছুড়েছে পুলিশকে লক্ষ্য করে। এই আবহে ঢাকা পুলিশের মুখপাত্র ফারুক হোসেন সংবাদসংস্থাকে জানান, হিংসার জেরে ১ জন পুলিশকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। সেই পুলিশকর্মীর মাথায় কোপ বসানো হয়েছিল বলে জানিয়েছেন তিনি। মৃত পুলিশকর্মীর নাম আমিরুল ইসলাম। এছাড়াও হিংসায় ১০০-র বেশি পুলিশকর্মী জখমও হয়েছেন। এদিকে বিএনপি অভিযোগ করেছে, পুলিশের হামলায় তাদের দলের এক তরুণ সমর্থকের মৃত্যু হয়েছে। সেই বিএপনি কর্মীর নাম শামিম মোল্লা। এদিকে পুলিশ জানিয়েছে, সারা দেশে বিএনপির মোট ১১৩৬ জনকে গ্রেফতার করা হয় গতকাল। এদিকে গতকালকের সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন সাংবাদিকও জখম হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। ঢাকা জুড়ে ৫০টিরও বেশি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল গতকাল।