কুমিল্লায় হিন্দুবিরোধী দাঙ্গায় সারা বিশ্বের ভর্ৎসনার মুখে পড়ার পর অবশেষে তৎপর হল বাংলাদেশ সরকার। সেদেশের কুমিল্লায় দুর্গাপূজা মণ্ডপে হনুমানের মূর্তির পায়ে যে ব্যক্তি কোরআন রেখেছিলেন তাকে শনাক্ত করেছে পুলিশ। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমসূত্রে এমনই জানা গিয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে চিহ্নিত করা হয়েছে ইকবাল হোসেন নামে ৩০ বছর বয়সী ওই যুবককে। তার সন্ধানে বাংলাদেশ পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে বলে দাবি করেছে সেদেশের সংবাদমাধ্যম।
গত বুধবার শারদোৎসবের অষ্টমীতে কুমিল্লাল শহরের নানুয়া দিঘিরপাড় এলাকায় একটি পূজামণ্ডপের বাইরে রাখা হনুমানের মূর্তির পায়ে একটি কোরআন শরিফ দেখা যায়। এর পর গোটা দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে হিন্দুবিরোধী দাঙ্গা। ভাঙচুর করা হয় একের পর এক মণ্ডপে। ভাঙচুর করা হয় একের পর এক মূর্তি। হত্যা করা হয়েছে অন্তত ৮ জন হিন্দুকে। পোড়ানো হয়েছে মঠ ও মন্দির। ৫ দিন ধরে নাগাড়ে দেশজুড়ে হিংসা চললেও কোথাও বাধা দিতে দেখা যায়নি হাসিনা সরকারের পুলিশকে।
হিংসা থামার পর তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তাতে মোট ৪৫০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে হাসিনা প্রশাসন। সঙ্গে সেদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, এই ঘটনায় মূলচক্রীদের খুঁজে বার করা হবে।
বুধবার ঘটনার ১ সপ্তাহ পরে হাসিনা সরকারের পুলিশ ইকবাল আহমেদ নামে ওই যুবককে শনাক্ত করেছে। সে কুমিল্লা শহরেরই মুরাদপুর – লস্করপুকুর এলাকার বাসিন্দা বলে জানানো হয়েছে। তার ছবিও প্রকাশ করেছেন তদন্তকারীরা। জানানো হয়েছে, অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে।