১৫ বছর ও তার বেশি বয়সিদের নিবন্ধনের আওতায় আনার উদ্যোগ নিচ্ছে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ৷ তাঁরা ভোটার না হলেও এনআইডি নম্বর পাবেন এবং ১৮ বছর হলেই ভোটার তালিকাভুক্ত হয়ে যাবেন৷
যাঁদের জন্ম ২০০৬ সালের ১ জানুয়ারি ও তার আগে তাঁরা অনলাইনে এনআইডি সেবার জন্য আবেদন করতে পারবেন৷ ১৮ বছর পূর্ণ হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাঁরা ভোটার তালিকাভুক্ত হয়ে যাবেন৷ নির্বাচন কমিশনের কাছে এ বিষয়ে প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে বলে এনআইডি উইংয়ের পরিচালক (অপারেশন্স) মো. নুরুজ্জামান তালুকদার ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন৷
২০০৭-২০০৮ সালে ছবি-সহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন শুরু হয়৷ সংশোধন, স্থানান্তর-সহ নিয়মিতভাবে নতুনদের যুক্ত এবং মৃতদের বাদ দিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ হয়৷ সবশেষে ২০১৯ সালে একসঙ্গে ১৫-১৮ বছর বয়সিদের নিবন্ধন করা হয়৷ নিবন্ধনের আওতায় আনা হয় ১ জানুয়ারি ২০০৪ সাল ও তার আগে যাঁদের জন্ম তাঁদের৷ ২০২২ সালে তাদের অনেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভোটার তালিকাভুক্ত হবে৷ বর্তমানে ১১ কোটি ১৭ লাখেরও বেশি ভোটার রয়েছেন দেশে৷
গত বছর এপ্রিল থেকে ইসির এনআইডি উইং অনলাইন সেবা চালু করে৷ ১৮ বছর বয়সীদেরও টিকা দেওয়ার উদ্যোগ চলছে৷ নাগরিক সেবার পাশাপাশি টিকা নেওয়ার কাজে নাগরিকদের সুবিধার্থে নতুন করে ভোটার নিবন্ধনের উদ্যোগ নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন৷
এনআইডি উইংয়ের পরিচালক নুরুজ্জামান তালুকদার বলেন, ‘সোমবার এনআইডি ডিজি মহোদয়ের সভায় ১ জানুয়ারি ২০০৬ বা তার আগে যাদের জন্ম তাদের নিবন্ধন করার উদ্যোগ নিতে আলোচনা হয়েছে৷ কমিশনের কাছে প্রস্তাবটা গেছে৷ এ উদ্যোগ মাননীয় নির্বাচন কমিশন বিবেচনা করবেন৷’ তিনি জানান,"অনলাইনে থাকতে চাই আমরা৷ অনলাইনে আবেদন করলে নতুন করে ফরম পূরণ করতে হবে না৷ ভেরিফাই করে আঙ্গুলের ছাপসহ নিবন্ধন করে নেওয়া হবে৷ নিবন্ধিত হলেই এনআইডি নম্বর পাবেন সংশ্লিষ্টরা৷"
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইনে এনআইডি পাওয়ার ক্ষেত্রে বয়সসীমা উল্লেখ নেই, নিবন্ধিত হলেই এনআইডি পাবেন তারা ৷ শিক্ষার্থীদের টিকা দিয়েই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার উদ্যোগও রয়েছে৷ এমন পরিস্থিতিতে ইসির উদ্যোগও কাজে লাগবে৷