মার্কিন ভোট একেবারেই দোড়গোড়ায়। কিন্তু তার আগেই ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি সই করে ফেলছে মোদী সরকার। সোমবারই এই সংক্রান্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছিল। মঙ্গলবার পড়বে সরকারি সিলমোহর। BECA (Basic Exchange and Cooperation Agreement) আওতায় গুপ্ত স্যাটেলাইট ও সেন্সর ডেটা ভারতের সঙ্গে শেয়ার করবে আমেরিকা। সেটা ব্যবহার করে নিজেদের মিসাইল ও ফৌজ মোতায়েনের ক্ষেত্রে আরও নিঁখুত পন্থা অবলম্বন করতে পারবে ভারত।
গতকাল একপ্রস্ত আলোচনার পর মঙ্গলবার থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হয়েছে ভারত-মার্কিন ২+২ বৈঠক। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন ভারত-মার্কিন তথ্য আদানপ্রদানের ক্ষেত্রে দিগন্ত খুলে যাবে বেকা সই হওয়ার পর। মার্কিন প্রতিরক্ষাসচিব মার্ক এসপার বলেন যে দুই দেশ এখনকার পরিস্থিতির যে চ্যালেঞ্জ, সেটাকে মোকাবিলা করছে। মুক্ত ও খোলা ভারত-প্যাসিফিকের লক্ষ্যে তাঁরা এগোচ্ছেন বলে জানান এসপার।
রাজনাথ বলেন যে করোনাকালে অর্থনীতির ক্ষতি হয়েছে। ফের শিল্পকে উৎজ্জীবিত করার চেষ্টা হচ্ছে। একই কাজ হচ্ছে পরিষেবা ক্ষেত্রে। বর্তমান পরিস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। দুই দেশই গণতন্ত্র ও নিয়ম মেনে বিশ্বে চলার বিষয় বিশ্বাসী বলে তিনি জানান। গতকালই প্রতিরক্ষামন্ত্রক জানিয়েছে যে বেকা চুক্তি সই হবে আজ, যেটিতে দুই দেশের মধ্যে স্যাটেলাইট থেকে প্রাপ্ত তথ্যের আদানপ্রদান ঘটে।
মার্কিন বিদেশসচিব যদিও এত রাখঢাক করে কথা বলেননি। তিনি স্পষ্ট বলেন এদিন যে অনেক কিছু নিয়ে আলোচনা হবে। কিভাবে উহান থেকে উৎপন্ন মহামারীকে ঠেকানো যায়, চিনের কম্যুনিস্ট পার্টি যেভাবে অঞ্চলে নিরাপত্তা ও স্বাধীনতার ক্ষেত্রে একটি বড় বাধা হয়ে উঠছে, সেই নিয়েও কথা হবে, স্পষ্ট করেন তিনি।
সংবাদসংস্থা এএফপি জানিয়েছে এই বেকার ফলে ভারত অত্যাধুনিক ও গুপ্ত স্যাটেলাইট ও সেন্সর ডেটা পাবে আমেরিকা থেকে যেটা ব্যবহার করা হবে মিসাইল কোথায় তাক করতে হবে বা সেনা কোথায় মোতায়েন করতে হবে সেটার জন্য।
প্রসঙ্গত এই মুহূর্তে চিনের সঙ্গে ঝামেলা চলছে উভয় ভারত ও আমেরিকার। এর জেরে সামরিক ভাবে যে দুই দেশ আরো কাছাকাছি আসবে, সেটা বলাই বাহুল্য। সেই কারণেই অনেক দিন ধরে আটকে থাকা সামরিক তথ্য আদানপ্রদানের চুক্তি এবার সই হওয়ার মুখে।