অবশেষে জামিন পেলেন বাংলাদেশের সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম। রবিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রোজিনার জামিন মঞ্জুর করেন। তবে আদালতের নির্দেশ মতো রোজিনাকে পাসপোর্ট জমা রাখতে হবে। অর্থাৎ দেশের বাইরে যেতে পারবেন না রোজিনা।
রোজিনার জামিন মঞ্জুর করার পর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক বাকি বিল্লাহ জানান, গণমাধ্যম গণতন্ত্রের অন্যতম অনুষঙ্গ।গণমাধ্যমের কারণে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান দায়িত্বশীল আচরণ করে থাকে। কোর্ট ও গণমাধ্যম একে অপরের পরিপূরক হয়ে কাজ করে।একইসঙ্গে আদালত জানায়, রোজিনার দায়িত্ব পালনে আরও সতর্ক হতে হবে। এর আগে সরকারি আইনজীবীর তরফে আদালতের কাছে আর্জি জানানো হয়, রোজিনা যদি পাসপোর্ট জমা রাখেন, তাহলে তাঁকে জামিন দেওয়া যেতে পারে। অন্যদিকে রোজিনার আইনজীবীরও বক্তব্য ছিল, আদালতের প্রতি আস্থা রেখে পাসপোর্ট জমা রাখার ক্ষেত্রে তাঁদের কোনও দ্বিমত নেই।
উল্লেখ্য, তদন্তমূলক সাংবাদিকতার জন্য বাংলাদেশে খুবই জনপ্রিয় রোজিনা। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দুর্নীতি সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে প্রশাসনের একাংশের রোষানলে পড়েছিলেন তিনি।গত সোমবার সচিবালয়ের একটি কক্ষে ৬ ঘণ্টা আটকে রাখা হয় তাঁকে।অফিসিয়াল সিক্রেসি অ্যাক্টে মামলা দায়ের করা হয়।এরপরই আওয়ামি লিগ, বিএনপি সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীরা রোজিনার মুক্তির দাবি জানাতে থাকে।চলচিত্র জগৎ থেকে শুরু করে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরাও রোজিনার মুক্তির আবেদন জানাতে থাকেন।শেষমেষ আদালতের রায়ে কিছুটা হলেও স্বস্তিতে সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম।