এবার ম্যালেরিয়া ভ্যাকসিন উৎপাদন করতে শুরু করবে ভারত বায়োটেক। তবে বাজারে আসতে অবশ্য এখনও দুবছর সময় লাগবে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি এই ভ্যাকসিনটি তৈরি করেছে ফার্মা মেজর জিএসকে। এটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদনও পেয়েছে।
ইতিমধ্যে ভারত বায়োটেকের সঙ্গে ফার্মা মেজর জিএসকে–এর ভ্যাকসিন উৎপাদনের ব্যাপারে একটি চুক্তি হয়। সেই চুক্তি অনুসারে ভারত বায়োটেককে ভ্যাকসিন তৈরির ফর্মুলা দেওয়া হবে, যার ওপর ভিত্তি করে ম্যালেরিয়া ভ্যাকসিনের এস অ্যান্টিজেন তৈরি করবে হায়দরাবাদের এই সংস্থা। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেই এই দুটি সংস্থার মধ্যে চুক্তি সাক্ষরিত হয়। ২০০১ সাল থেকে জিএসকে ‘পাথ’ নামে একটি সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ম্যালেরিয়া ভ্যাকসিন দেওয়া নিয়ে ঘানা, কেনিয়া ও মালাওয়িতে একটি পাইলট প্রজেক্ট চালাচ্ছিল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে পরামর্শ মতোই এই প্রজেক্ট চালানো হচ্ছিল। ২০১৯ সাল থেকে ৮ লাখেরও বেশি শিশুর ওপর এই ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হয়েছিল। সেই পরীক্ষামূলক প্রয়োগের ফলাফল অনুসারেই গত বুধবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ভ্যাকসিন শিশুদের মধ্যে ব্যাপকভাবে ব্যবহারের অনুমোদন দেয়।
এর আগে জিএসকে–এর তরফে জানানো হয়েছিল, পাইলট প্রজেক্টের জন্য জিএসকে ১ কোটি আরটিএস, এএসওওয়ানই ডোজ সরবরাহ করতে পারবে। ২০২৮ সালের মধ্যে সেই সরবরাহের পরিমাণ ১ কোটি ৫০ লাখ করা যাবে। তবে এবারে ভারত বায়োটেকের সঙ্গে চুক্তির ফলে ২০২৯ সালের পর এই ভ্যাকসিন উৎপাদনের পরিমাণ আরও বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। এর আগে করোনার ভ্যাকসিন কোভ্যাক্সিন উৎপাদন করে ভারত বায়োটেক। যদিও তা এখনও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।