আদিত্যনাথ ঝা
মঙ্গলবার বিকালে ভয়াবহ ঘটনা বিহারের পূর্ণিয়াতে। বিদ্যুৎস্পৃষ্ঠ হয়ে মৃত্যু হয়েছে চারজন মহিলা শ্রমিকের ।তার মধ্য়ে এক মা ও তাঁর মেয়েও রয়েছে। দুজন শ্রমিক জখম হয়েছেন। তাঁরা ধানের জমিতে কাজ করছিলেন। সেই সময় তাঁদের উপর বিদ্যুৎপরিবাহী তার ছিঁড়ে পড়ে। তার জেরে মৃত্যু হয় চারজনের।
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। মৃতদের পরিবারের জন্য় ৪ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন। আহতদের জন্য় বিনামূল্যে চিকিৎসা।
মৃতদের নাম রেণু দেবি(৪০), মীনা দেবী(২০)। তাঁরা সম্পর্কে মা ও মেয়ে। এছাড়াও রানি দেবী( ২৮) ও রমিতা দেবী (২৫)। তারা সকলেই গোদিয়ার গ্রামের বাসিন্দা। পূর্ণিয়া থেকে প্রায় ৫০ কিমি দূরে এই গ্রাম।
আহতদের নাম সুলেখা দেবী ও মুলেখা দেবী। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে চিকিৎসার জন্য।
এসডিপিও রমেশ কুমার জানিয়েছেন, ১১ কেভি লাইন আচমকাই ছিঁড়ে নীচে পড়ে যায়। তারা ধানের জমিতে কাজ করছিলেন। এই ঘটনায় চারজন মারা গিয়েছেন। সেই জমিতে জল ছিল। এর জেরে তারা দ্রুত সমস্যায় পড়ে যান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন. সব মিলিয়ে সেই সময় মাঠে ১৪জন মহিলা শ্রমিক কাজ করছিলেন। আচমকাই দমকা হাওয়া দেয়। আর বিদ্যুতের হাই ভোল্টেজ তার ছিঁড়ে পড়ে যায়। এরপরই চারজন ছটফট করতে করতে মারা যান। স্থানীয়রা বলেন, চারজনকেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তখন তাদের মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
ঘটনার পরেই স্থানীয়রা পূর্ণিয়া-রুপালি রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। মৃতদের পরিবারের সদস্যকে সরকারি চাকরি দেওয়ার দাবি তারা জানিয়েছেন। স্থানীয়রা বলেন, এই তারগুলি আগে থেকেই আলগা ছিল। সেকারণে বার বার এনিয়ে দফতরকে বলা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও তারা কোনও ব্যবস্থা করেনি। তারা এনিয়ে আগে ব্যবস্থা নিলে এই পরিস্থিতি তৈরি হত না। তবে শেষ পর্যন্ত পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিকরা নানাভাবে আশ্বস্ত করেন অবরোধকারীদের। এরপর তারা অবরোধ করেন।