অবিনাশ কুমার
বিহারের হিংসার ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। জানিয়ে দিলেন বিহারের মুখ্যসচিব। বিহারের হিংসার ঘটনা নিয়ে মুখ্য়সচিব আমির সুভানি ও ডিজিপি রাজিন্দর সিং জানিয়েছেন, রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। গোটা বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
তিনি মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে গোটা বিষয়টি ব্রিফ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী মৃতদের পরিবারের জন্য ৫ লাখ করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন। তিনি নির্দেশ দিয়েছেন যে কোনো উপায়ে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে হবে। যে কোনও ধরনের দুবৃত্তমূলক কাজ কঠোরভাবে দমন করা হবে।
এদিকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বিহারের রাজ্যপালের কাছে ফোন করেছিলেন। এদিকে নালন্দায় যে কিশোরের মৃত্যু হয়েছে তার নাম গুলসন কুমার। ডিজিপি জানিয়েছেন ১০৯জনকে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে। আরও চার কোম্পানি সিএপিএফ রাজ্য শনিবার সন্ধ্যায় এসেছে।
ঠিক কী হয়েছিল বিহারে?
রামনবমীর শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে বিহারে নতুন করে হিংসা ছড়িয়েছিল। বিহারের নালন্দা জেলায় ও রোহতাস জেলার সাসারাম শহরে এই হিংসার ঘটনা হয়েছে। অন্তত ১০ জন জখম হয়েছেন এই ঘটনায়। শনিবার সন্ধ্যায় দুজন পুলিশও জখম হয়েছেন হিংসার ঘটনায়। পটনা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে এক নাবালকের মৃত্যু হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। সব মিলিয়ে থমথমে হয়েছিল এলাকা।
নালন্দা থেকে পাওয়া খবর অনুসারে জানা গিয়েছে রামনবমীর শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে আগেই হিংসার ঘটনা হয়েছিল। তারপরের দিন লাহেরি থানা এলাকায় বহু মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন। তারা প্রকাশ্য রাস্তায় নির্বিচারে গুলি চালাতে শুরু করে। এর জেরে চারজন জখম হয়েছে।
সূত্রের খবর, মূলত দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে ঝামেলা হয়েছিল। দুই সম্প্রদায়ের লোকজনই একে অপরকে নিশানা করে পাথর ছুঁড়তে শুরু করে। গুলিও ছুঁড়তে শুরু করে। এই ঘটনায় ১৬ বছর বয়সী গুলসান কুমার ও প্রফেসর শাকিল আহমেদ গুরুতর জখম হয়েছেন।
সাসারামে বোমা বিস্ফোরণে অন্তত ৬জন জখম হয়েছেন। টাউন পুলিশ স্টেশন এলাকায় শহজমা এলাকায় বোমা বিস্ফোরণ হয়। এর জেরে চারজন জখম হয়েছিলেন। তবে পুলিশ প্রশাসন জানিয়ে দিল পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।