কৃষক আন্দোলন নিয়ে বারবার মুখ খুলেছিলেন তিনি। আর তাতে সরাসরি অস্বস্তিতে পড়েছিল নরেন্দ্র মোদীর সরকার। কারণ তিনি বিজেপির সাংসদ। কৃষকদের পাশেই তিনি দাঁড়িয়েছিলেন। এবার পাঁচ রাজ্যের নির্বাচন রয়েছে। সেই রাজ্যগুলিতে বেকারত্ব বেড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। তাতে আরও চাপে পড়ে গিয়েছে বিজেপি। তিনি নিজে উত্তরপ্রদেশের সাংসদ। আর তাঁর মুখে এই কথা যোগী আদিত্যনাথ সরকারকে বিপাকে ফেলল বলে মনে করা হচ্ছে। হ্যাঁ, তিনি বিজেপি সাংসদ বরুণ গান্ধী।
ঠিক কী করেছেন বরুণ গান্ধী? আজ, শুক্রবার একটি পত্রিকার লেখাকে উল্লেখ তিনি টুইট করেছেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘সব ধরনের উন্নয়নমূলক আলোচনা সত্ত্বেও পরিসংখ্যান বলছে, সবকটি ভোটমুখী রাজ্যে বেকারত্ব প্রচণ্ড বেড়ে গিয়েছে। রাজনৈতিক জনপ্রিয়তা লাভের চেষ্টা করার পরিবর্তে আমাদের উচিত চাকরি তৈরির চেষ্টাকে উৎসাহ দেওয়া।’ এই মতই এখন বিজেপির কাছে অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ একমাত্র পাঞ্জাব ছাড়া উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, গোয়া এবং মণিপুরে বিজেপির সরকার রয়েছে। সেখানে এই মত ডাবল ইঞ্জিন তত্ত্বকে প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে।
নরেন্দ্র মোদী ডাবল ইঞ্জিন সরকার নিয়ে বেশি প্রচার করছেন। টুইট করেছেন এবং জোর দিয়েছেন। সেখানে বরুণের দাবি, ‘মূল্যবৃদ্ধি আকাশ ছুঁয়েছে। বেকারত্ব বাড়ছে।’ সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমির পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে উত্তরপ্রদেশের তথ্য তুলে ধরে তাঁর দাবি, গত পাঁচ বছরে যোগী রাজ্যে কর্মক্ষম ব্যক্তির সংখ্যা ১৫ কোটি থেকে বেড়ে ১৭ কোটি হয়েছে। আর চাকুরিপ্রাপকদের সংখ্যা ৩৮.৫ শতাংশ থেকে কমে ৩২.৮ শতাংশ হয়েছে। নির্বাচনের মুখে এই তথ্য সামনে আনায় অস্বস্তি এখন চরমে।
এখন উত্তরপ্রদেশ মন্ত্রিসভা ভাঙতে শুরু করেছে। বিজেপি ছেড়ে বিধায়ক–মন্ত্রীরা সমাজবাদী পার্টিতে চলে যাচ্ছেন। তাতে একরকম অস্বস্তি রয়েছে। তার সঙ্গে যোগ হয়েছে, বরুণ গান্ধীর এই মতপ্রকাশ। তাতে এখন বিজেপি নেতারা ড্যামেজ কন্ট্রোল কি করে করবেন তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন। এই তথ্যকে সামনে রেখে ময়দানে নেমে পড়েছে কংগ্রেস–সপা। আর বরুণ গান্ধীকে কার্যনির্বাহী সমিতি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। বাদ পড়েছেন উত্তরপ্রদেশে দলের তারকা প্রচারকের তালিকা থেকেও।