আমার জন্য দলের অন্য সদস্যরা লজ্জিত হচ্ছেন। তাই ইস্তফা। নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করে আবার ফিরবেন। বুধবার এমনই কারণ দেখিয়ে ইস্তফা দিলেন বিজেপিশাসিত কর্ণাটকের ক্ষুদ্র ও বৃহত্ সেচমন্ত্রী রমেশ ঝাড়কিহোলি।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে কর্ণাটকে সোশ্যাল মিডিয়া ও টিভিতে ভাইরাল হয় একটি ভিডিয়ো। সেখানে একটি যুবতীর সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ মুহূর্ত ধরা পড়েছে বলেছে অভিযোগ।
তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, যুবতীকে সরকারি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে তাঁর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়েছেন তিনি। এ হেন দাবি করেই মঙ্গলবার তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন কর্ণাটকের সমাজকর্মী দীনেশ কল্লহালি।
পুলিশের কাছে অভিযোগে দীনেশ জানান, সরকারি চাকরির লোভ দেখিয়ে তিনি যুবতীর যৌন নির্যাতন করেছেন। শুধু তাই নয়, যুবতীর পরিবারকে মুখ বন্ধ রাখতে শাসানোও হচ্ছে বলে তাঁর অভিযোগ।
এর পরেই কর্ণাটকের সোশ্যাল মিডিয়া থেকে টেলিভিশনে তীব্র শোরগোল ওঠে। বিরোধী দল তাঁর ইস্তফার দাবি করতে থাকে।
অবশেষে বুধবার ইস্তফা দেন রমেশ ঝাড়কিহোলি। ইস্তফার কারণ হিসাবে লেখেন, 'আমার বিরুদ্ধে আসা অভিযোগে দলীয় সদস্যরা কালিমালিপ্ত হচ্ছেন। সেই কারণেই আমি ইস্তফা দিতে চাই। কিন্তু আমি নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করে আবার ফেরত আসব।'
অন্যদিকে রমেশ ঝাড়খোলির দাদা বিজেপি নেতা বাকাকৃষ্ণ ঝাড়কিহোলি বুধবার এই ঘটনার প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। সেখানে তিনি এটিকে একটি ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেন। তিনি এটিকে 'ফেক সিডি' বলেন এবং সিবিআই তদন্তের দাবি জানান। অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মানহানির মামলা করবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
ভিডিয়োটি পুলিশি তদন্তসাপেক্ষ। HT Bangla অভিযুক্ত ভিডিয়োটি পরীক্ষা করেনি।