বিবাহ বিচ্ছেদকে কেন্দ্র করে স্ত্রীকে ভরণপোষণের টাকা দেওয়া সংক্রান্ত একটি মামলা ঘিরে বম্বে হাইকোর্টে সদ্য একটি রায় উঠে আসে। বম্বে হাইকোর্টের অউরাঙ্গাবাদ বেঞ্চের একটি রায়ে বলা হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় যদি বিবাহ বিচ্ছিন্ন স্ত্রী ভুয়ো দাবিও করেন যে তিনি চাকরি পেয়েছেন, তাহলেও ঘটনা সত্য না হওয়ার জেরে স্বামীকে দিতে হবে ভরণপোষণের টাকা।
এর আগে ২০১৯ সালের ৪ ডিসেম্বর জালনার একটি পারিবারিক আদালতে রায় দেওয়া হয়েছিল ওই মহিলার ফেসবুক পোস্ট ঘিরে। সেই ফেসবুক পোস্টে মহিলা দাবি করেছিলেন যে, তিনি লন্ডনে চাকরি পেয়েছেন। পরে মহিলা দেখেন যে সেই চাকরির অফার লেটার ভুয়ো ছিল। এদিকে, সেই দাবির নিরিখে বিবাহ বিচ্ছিন্ন স্ত্রীকে ভরণপোষণের খরচ দিতে গড়রাজি ছিলেন তাঁর স্বামী। এরপর জালনা কোর্টে ওই মহিলার ভরণপোষণের দাবি খারিজ হয়ে যায়। পরবর্তীতে তিনি বম্বে হাইকোর্টে আর্জি জানান ভরনপোষণের খরচ দাবি করে। বম্বে হাইকোর্ট জানিয়েছে, ‘ স্ত্রী আসলে কোনও সংস্থার কর্মী নন এই উপসংহারে পৌঁছে আমার মনে হয় আদালতের রাস্তা তাঁর জন্য বন্ধ হয়ে যায়নি। যদিও তাঁর কীর্তি মোটেও দোষের বাইরে যায় না।’ প্রসঙ্গত, বিভিন্ন নথি প্রামাণ্য হিসাবে সামনে আসার পর আদালত দেখে যে এই মহিলা সত্যিই কোনও সংস্থায় কর্মরতা নন। এরপরই তাঁর স্বামীকে অন্তর্বর্তী ভরনপোষণের খরচ হিসাবে ৭৫০০ টাকা বিচারপতি সন্দীপ মারনে দিতে নির্দেশ দেন। এর আগে, জালনা কোর্ট এই ভরনপোষণের খরচ দেওয়ার জন্য মহিলার আর্জি খারিজ করে দেয় দুটি নিরিখে। একটি ছিল তাঁর ফেসবুক পোস্ট, অন্যটি ছিল, তিনি তাঁর স্বামীর থেকে বেশি শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন।
কোভিড লকডাউন ঘিরে প্রতিবাদে উত্তাল চিন! উঠছে 'গোপন উদ্দেশ্য'-এর তত্ত্ব
উল্লেখ্য, এই মামলায়, বিবাহ বিচ্ছিন্না স্ত্রীর ভরনপোষণের খরচ করত হতে পারে তা নিয়ে আদালত সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বামীর রোজগার ও খরচের সাপেক্ষে। আদালত জানতে পেরেছে যে ওই ব্যক্তি মাসে ৬৬ হাজার টাকা রোজগার করেন। এছাড়াও তাঁর বহু ঋণ রয়েছে। ফলে সব মিলিয়ে মাসে তাঁর বিবাহ বিচ্ছিন্না স্ত্রীকে ভরনপোষণে ৭৫০০ টাকা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেয় আদালত।