সাধারণ বাজেটের বক্তৃতায় উঠে এল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কথা। করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যে বাজেট পেশের সময় বিশ্বকবিকে উদ্ধৃত করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তবে শুধু বঙ্গসন্তান নন, ভোটমুখী তামিলনাড়ুর কবি তিরুবাল্লুবরের লাইনও নির্মলার ভাষণে ঠাঁই পেল।
(একনজরে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর বাজেট ২০২১ বক্তৃতা)
সোমবার সংসদে বাজেট বক্তৃতার শুরুর দিকেই সীতারামন জানান, করোনা মহামারীর প্রকোপ কাটিয়ে ‘নয়া যুগের সূচনা হচ্ছে।’ বলেন, ‘দুটি বিশ্বযুদ্ধের পরই যেমন হয়েছিল, তেমনভাবেই করোনাভাইরাস-পরবর্তী বিশ্বে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং কৌশলগত সম্পর্ক পরিবর্তনের সংকেত মিলছে। ইতিহাসে এটা হল সূর্যোদয়ের যুগ। সত্যিকারের দৃঢ়প্রতিজ্ঞা এবং আশার ভূমি হয়ে ওঠার রাস্তায় ভালোভাবে এগিয়ে যাচ্ছে ভারত।’
আরও পড়ুন : সড়ক, রেল, চা-বাগান - ভোটের আগে বাজেটে কী কী 'উপহার' পেল বাংলা?
আশাবাদের কাহিনির পর এবারের বাজেটের বিভিন্ন ঘোষণার আগে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লাইন ‘ধার’ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ফেদ ইজ দ্য বার্ড, দ্যাট ফিলস দ্য লাইট অ্যান্ড সিংগস, হোয়েন দ্য ডন ইজ স্টিল ডার্ক।’ পরে বাজেটের বক্তৃতার মাঝে তামিল কবির লাইনও উদ্ধৃত করেন। যিনি আগেরবারও নিজের প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেটে একাধিক লেখক, কবির লাইন উদ্ধৃত করেছিলেন। তবে এই প্রথম রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লাইন উঠে এল নির্মলার বাজেট ভাষণে। যা বাংলায় আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মত পর্যবেক্ষকদের।
আরও পড়ুন : ৭৫ বছরের উর্ধ্বে নাগরিকদের দিতে হবে না ITR, অপরিবর্তিত কর কাঠামো
তবে তাতে একেবারেই অবাক নয় সংশ্লিষ্ট মহল। বরং বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাংলার মানুষের ‘মন’ জিততে বছরকয়েক ধরেই সেই কৌশল নিয়ে আসছেন বিজেপি নেতানেত্রীরা। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, স্বামী বিবেকানন্দ, মদনমোদন বসু-সহ একঝাঁক বাংলার মনীষীদের নাম নিচ্ছেন। সংসদে বাজেট অধিবেশনের শুরুতে খোদ রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের মুখেও ছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম।