মঙ্গলবার টুইটারকে হুঁশিয়ারি দিল দিল্লি হাইকোর্ট। নয়া আইটি নীতির প্রণয়ন নিয়ে টুইটারের গড়িমসির সমালোচনা করলেন বিচারপতি রেখা পল্লী। তিনি বলেন, 'টুইটার যদি ভেবে থাকে আমাদের দেশে যতদিন খুশি সময় নেবে, সেটা আমি হতে দেব না। আপনাদের অফিসার(কমপ্লায়েন্স) নিয়োগের ক্ষেত্রে দ্রুত পদক্ষেপ করা উচিত্ ছিল।'
বিচারপতি রেখা পল্লী বলেন, 'টুইটার আদালতকে বিভ্রান্ত করেছে।' টুইটার জানিয়েছিল যে তাঁরা নতুন আইটি বিধি অনুসারে একজন রেসিডেন্ট অভিযোগ বিষয়ক আধিকারিক নিয়োগ করেছে। কিন্তু আসলে, একজন অন্তবর্তীকালিন, সাময়িক আধিকারিকই নিয়োগ করেছে টুইটার। সেই প্রেক্ষিতে আদালত জানায়, 'এটি একটি অত্যন্ত গুরুতর ব্যাপার। আপনারা আদালতকে এটা বলেননি যে আসলে একজন অন্তর্বর্তীকালীন আধিকারিক নিযুক্ত করেছেন।'
টুইটার দিল্লি হাইকোর্টে একটি হলফনামা জমা দেয়। তাতে বলা হয়, 'গত ২৯ শে মে একজন অন্তর্বর্তীকালীন রেসিডেন্ট অভিযোগ গ্রহণকারী আধিকারিক নিয়োগ করা হয়েছিল। তবে তিনি গত ২১ শে জুন পদত্যাগ করেছেন।'
এর উত্তরে কোর্ট বলে, 'গত ২১ জুনের পরে টুইটার অন্তত অন্য একজন অফিসারও তো নিয়োগ করতে পারত। আমরা টুইটারের এই আচরণে উদ্বিগ্ন।'
সোমবার টুইটার আইটি বিধি মেনে চলতে ব্যর্থ বলে অভিযোগ করে কেন্দ্রীয় সরকার। হাই-কোর্টে কেন্দ্রের হলফনামায় বলা হয়েছে, 'আইটি বিধি, ২০২১ মেনে চলার জন্য সমস্ত উল্লেখযোগ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে তিন মাস সময় দেওয়ার পরেও টুইটার তা মেনে চলতে ব্যর্থ হয়েছে।'
টুইটারের পক্ষের আইনজীবী সাজান পূওয়াইয়া জানান, সময় পার্থক্যের কারণে তিনি সান ফ্রান্সিস্কোতে সংস্থার কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেননি। এর পর, আদালত টুইটারকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সময় দিয়েছে যাতে। এর মধ্যেই কতদিনে গ্রিভ্যান্স অফিসার নিয়োগ করা হবে, তার সময় জানাতে বলা হয়েছে।