ত্রিপুরায় গেরুয়া শিবিরে ধস নামতে পারে এই আশঙ্কা জোরালো হতেই নড়েচড়ে বসলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বুধবার দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক বিএল সন্তোষের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল উড়ে যান ত্রিপুরায়। দলের বিধায়ক, মন্ত্রীদের সঙ্গে আলাদাভাবে দেখা করেন তাঁরা। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, ২০১৭ সালে বর্তমান বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। এদিকে মুকুল রায় ফিরতেই সুদীপ রায় বর্মনও তৃণমূলে ফিরতে পারেন বলে জল্পনা ছড়িয়েছে। প্রসঙ্গত সূত্রের খবর ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকে অপসারণ করতে গত বছর দিল্লিতে গিয়েছিলেন সুদীপ রায় বর্মন ও তাঁর ঘনিষ্ঠ কয়েকজন বিধায়ক। তবে একথা মানতে চাননি বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন।
এদিকে দল সূত্রে খবর, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মা, সাংসদ, সমস্ত মন্ত্রী, বিধায়কদের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন। এব্যাপারে দলের রাজ্য সভাপতি ডঃ মানিক সাহা বলেন, ‘সংগঠনকে শক্তিশালী করতে ও ভবিষ্যতের দিশা দেখাতেই তাঁরা এসেছেন।’ তবে বিধায়কদের একাংশের দল ছাড়ার জল্পনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এমন কোনও খবর আমাদের কাছে নেই। সমস্ত বিধায়করা আমাদের সঙ্গেই আছেন।’ পাশাপাশি দলের অন্দরে যাতে সকলের মতামত শোনা হয় সেব্যাপারেও এদিন বিজেপি নেতৃত্ব আশ্বাস দিয়েছেন। তবে সামগ্রিক পরিস্থিতিতে ত্রিপুরার তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি আশিস লাল সিং বলেন, প্রায় ১১ হাজার মানুষ বিজেপি ও সিপিএম থেকে গত দু সপ্তাহে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তবে আগে যারা তৃণমূল ছেড়েছেন তাঁদের গুরুত্ব না দেওয়ার ব্যাপারে নেত্রী জানিয়েছেন।