রামনবমীতে ছত্তিশগড়ে পুরো লকডাউন জারি করেছে প্রশাসন। ছত্তিশগড়ের ২৮টি জেলাতেই এই লকডাউন চলছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় মানুষ যাতে রামনবমীর দিন জমায়েত করতে না পারে, সেকথা মাথায় রেখেই এই লকডাউন জারি করা হয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে থবর, প্রশাসনের তরফে কাউকেই রাস্তায় বেরোতে দেওয়া হচ্ছে না। যদি কেউ বের হন, তাহলে তাঁর আইডি কার্ড দেখা হচ্ছে। কী কারণে ওই ব্যক্তি বেরিয়েছে, তা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। এর আগে গত ১০ এপ্রিল ছত্তিশগড়ের আটটি জেলায় লকডাউন পর্ব শুরু হয়।এরপরদিনই সংক্রমণের মাত্রা বাড়তে থাকায় রাজধানী রায়পুর, দূর্গ, জাসপুর, কোরিয়া ও বালোডাবাজার জেলাও লকডাউনের আওতায় চলে আসে। কিন্তু তারপরেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে না আসায় এবার রাজ্যজুড়ে লকডাউনের পথেই হেঁটেছে রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জাতির উদ্দেশে ভাষণে লকডাউনকে শেষ অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার কথা বলেছেন। কিন্তু বাস্তব পরিস্থিতিতে দেখা যাচ্ছে, অনেক রাজ্যই এখন করোনা সংক্রমণের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় লকডাউনের পথে হাঁটতে শুরু করেছে।
ইতিমধ্যে ছত্রিশগড় প্রশাসনের তরফে রাজ্যের মানুষের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে, যাঁরা করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন তাঁরা যেন প্রশাসনকে জানান, যাতে প্রশাসনের তরফে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায়।প্রশাসনের তরফে এও জানানো হয়েছে, যদি কেউ নিজেদের আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি গোপন করে তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর করা হবে।