ভারতে ইতিমধ্যেই ৫৪ টি চিনা অ্যাপ বাতিল হয়েছে। তারপরই ভারতের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে বেজিং। এই চিনা অ্যাপ ভারতে নিষিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় চিন উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে, এইভাবে চিনা সংস্থাগুলিকে দমিয়ে রাখা হচ্ছে।
চিনের বাণিজ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, ভারত নিজের ব্যবসায়িক পরিবেশকে আরও চাঙ্গা করার চেষ্টা করুক, যাতে চিনা সংস্থাগুলি সহ সমস্ত বিদেশী বিনিয়োগকারীরা স্বচ্ছ্বভাবে কাজ করতে পারে। বিদেশী সংস্থাগুলি যাতে বৈষম্যের শিকার না হয়,তার বার্তা দিয়েছে জিনপিং প্রশাসন। উল্লেখ্য, গত ২০২০ সাল থেকে ভারতের সঙ্গে চিনের সম্পর্কে অবনতি ঘটে। চিনের লাদাখ আগ্রাসনের পর থেকেই শুরু হয় এই চরম পরিস্থিতি। পরবর্তীকালে ভারত বহু চিনা অ্যাপ যেমন দেশে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে, তেমনই ভারতে বহু চিনা সংস্থায় চলেছে আয়কর ঘিরে তল্লাশি অভিযান। যে বিষয়টিকে ভালোভাবে নেয়নি বেজিং। সদ্য ভারত নতুন করে ৫৪ টি চিনা অ্যাপকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে দিয়েছে। এই অ্যাপগুলির বিরুদ্ধে নিরাপত্তাজনিত সমস্যা তৈরির অভিযোগ ছিল। এছাড়াও রয়েছে গুপ্তচরবৃত্তি ঘিরে সন্দেহ।
এদিকে, সদ্য চিনা টেলিকম সংস্থা হুয়াওয়েইতে চলেছে তল্লাশি অভিযান। তাদের বিরুদ্ধে আয়কর সংক্রান্ত অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলে চিনের কমার্স মন্ত্রক জানিয়েছে, 'এই পদক্ষেপ চিনা সংস্থাগুলি তাদের পণ্যকে ভারতে দমিয়ে রাখার উদ্দেশে গুরুতর পদক্ষেপ। যা চিনা সংস্থাগুলির বৈধ অধিকারকে ক্ষুণ্ণ করেছে।' চিনের কমার্স মন্ত্রকের মুখপাত্র গাও ফেং জানিয়েছেন, 'দুই দেশের আর্থিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। আশা করা যায় ভারত তা ধরে রাখতে পোক্ত পদক্ষেপ করবে, যাতে দুই দেশের আর্থিক ও বাণিজ্যিক উন্নয়নের ধারা বজায় থাকে।' এদিকে চিনা টেক জায়েন্ট হুয়াওয়েই জানিয়েছে, তারা আত্মবিশ্বাসী নিজেজের ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে। আয়কর সংক্রান্ত তদন্তে তারা দিল্লিকে যাবতীয় সাহায্য় করবে বলেও জানিয়েছে। উল্লেখ্য, সদ্য এই সংস্থার গুরুগ্রাম, দিল্লি ও বেঙ্গালুরুর দফতরে আয়কর তল্লাশি চলেছে।