ভারত-চিনের মধ্যে সামরিক স্তরে আলোচনার পর লাদাখে তার কিছুটা প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে। পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকা থেকে ধীরে ধীরে সেনা সরিয়ে নিতে শুরু করেছে চিন। কেন্দ্রীয় সরকারের শীর্ষ কর্তাদের সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, সোমবার রাতে ও মঙ্গলবার সকালে ধীরে ধীরে সেনা সরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
প্রায় এক মাস ধরে গালওয়ান উপত্যকার তিন জায়গা ও প্যাংগং সো লেকেরে এক স্থানে ভারত-চিন সেনা একেবারে মুখোমুখি খাড়া হয়ে আছে। কিছু চিন সেনা যে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করে গিয়েছিল, তাও জানিয়েছে ভারত।
সূত্রের খবর চিনের পিপল লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) নিজেদের বাহিনী ও ইনফ্যান্ট্রি কমব্যাট সম্পন্ন গাড়ি প্রায় আড়াই কিলোমিটার পিছিয়ে দিয়েছে। এটি মূলত গালওয়ান উপত্যকার প্যাট্রলিং পয়েন্ট ১৫ ও হট স্প্রিং অঞ্চলে হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ভারতও অঞ্চল থেকে কিছু সেনা কমিয়েছে উত্তেজনা কমানোর জন্য। দুই পক্ষের কম্যান্ডার পর্যায়ের বৈঠকের পর যে উত্তেজনা কিছুটা কমেছে লাদাখে, সেটি প্রথম জানিয়েছিল হিন্দুস্তান টাইমস।
সোমবারই রাজনাথ সিং বলেছিলেন যে সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা হচ্ছে। কোনও ভাবেই ভারতের সম্মান ও আত্মমর্যাদায় হানি হবে না, সাফ করে দিয়েছিলেন তিনি। প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন লাদাখে কী হচ্ছে, তিনি সংসদে বিস্তারিত বলবেন। কিন্তু তারপরেও বিরোধীরা ক্ষান্ত হননি। কংগ্রেস থেকে তৃণমূল, সবাই লাদাখ নিয়ে কেন্দ্রকে খোঁচা দিচ্ছিল। সেখানে এই খবর যে চিনের সেনা ধীরে ধীরে পিছিয়ে যাচ্ছে, নিশ্চিত ভাবেই সরকারের হাত শক্ত করবে।