বৃহস্পতিবার নাগরিক সংশোধনী বিলে অনুমোদন দিলেন রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ।এর ফলে বিলটি আইনে পরিণত হয়ে সরকারি গেজেটে নথিভুক্ত হল।
নাগরিক সংশোধনী আইন অনুযায়ী, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ধর্মীয় নিপীড়নের জেরে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ভারতে প্রবেশ করা হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন, শিখ, পার্সি ও খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা এ দেশে নাগরিকত্ব পাবেনকী আছে এই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন?
গত সোমবার লোকসভায় এবং বুধবার রাজ্যসভায় বিলটি অনুমোদিত হয়। বিল অনুযায়ী, ভারতে প্রবেশ করার পরে ৫ বছর বসবাস করলে এই ছয় ধর্মাবলম্বী শরণার্থীরা নাগরিকত্ব পাবেন। পূর্বতন নাগরিক বিলে সেই সময় সীমা ১১ বছর ধার্য ছিল। পাশাপাশি, তাঁদের বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশকারী হিসেবে কোনও মামলা এর আগে দায়ের হয়ে থাকলে, বর্তমানে তা খারিজ হযজ্বলছে অসম, মৃত ২
নতুন আইনের আওতা থেকে বাদ রাখা হয়েছে সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিলে উল্লিখিত ইনারলাইন পারমিটের অধীনস্থ অসম, মেঘালয়, মিজোরাম ও ত্রিপুরার জনজাতি অধ্যুষিত অঞ্চলগুলি।
নতুন নাগরিক সংশোধনী বিলের প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন উত্তর পূর্ব ভারতের, বিশেষ করে অসম ও ত্রিপুরার বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, ১৯৮৫ সালের অসম শর্তাবলী অনুসারে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী চিহ্নিত করার জন্য ধর্মমত নির্বিশেষে ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চ পর্যন্ত নির্দিষ্ট পূর্বতন সময়সীমা নতুন আইনবলে নাকচ হয়ে যাবে।
গত কয়েক দিন নতুন বিলের প্রতিবাদে উত্তর পূর্বে গণবিক্ষোভে শামিল হয়েছেন অসংখ্য নাগরিক। বৃহস্পতিবার অসমে কারফিউ অমান্য করে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ প্রদর্শনের সময় পুলিশ গুলি চালালে দুই জনের মৃত্যু হয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বৃহস্পতিবার রাতে গুয়াহাটি, ডিব্রুগড়, তেজপুর, ঢেকিয়াজুলি ও শিলং-সহ উত্তর পূর্বের একাধিক শহরে কারফিউ বহাল করা হয়। নৈশ কারফিউ জারি হয় অসমের জোরহাট, গোলাঘাট, তিনসুকিয়া ও ছাড়াইদেও জেলায়।়ে যাবে।
।