তাঁর বিচরণ ক্ষেত্র শুধু রাজনীতির অলিন্দে সীমাবদ্ধ নয়। এবার সেটা তিনি নয়াদিল্লি সফরে গিয়েও প্রমাণ দিলেন। হ্যাঁ, তিনি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে তাবড় বিরোধী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। আজ, বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতীন গড়কড়ির সঙ্গে বৈঠক করার কথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তারপরই বিকেলে তিনি বৈঠক করবেন আর এক বিজেপি বিরোধী দল ডিএমকে’র সাংসদ কানিমোঝির সঙ্গে। এমনকী তিনি দেখা করবেন জাভেদ আখতার ও শাবানা আজমির সঙ্গে। সুতরাং রাজনীতি থেকে বিনোদন ক্ষেত্রে তাঁর অবাধ বিচরণ জাতীয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে রাজধানীতে বৈঠকের পর বৈঠক করে যাচ্ছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বিরোধী শিবিরকে একছাতার তলায় আনতে পুরোদমে ময়দানে নেমে পড়েছেন তিনি। বিজেপিকে প্রতিরোধ করতে হলে যে বিরোধীদের একজোট হতে হবে—বিরোধীদের সঙ্গে বৈঠকে বারবার এই বার্তাই তিনি দিয়েছেন। কংগ্রেস–আপ দু’পক্ষের সঙ্গেই তিনি বৈঠক করেছেন।
এমনকী দলেন সব সাংসদদের বিরোধী দলগুলির মধ্যে সমন্বয় বাড়িয়ে কাজ করার কথা বলেছেন মমতা৷ করোনাভাইরাস পরিস্থিতি আরও কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলে বিরোধী দলগুলিকে নিয়ে ব্রিগেড সমাবেশ করার কথা তাঁর। সেকথা ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকেই তিনি বলেছেন। উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনেও বিরোধী জোট গঠন করে সেখানে শক্ত ভিত তৈরি করার কথা বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷
জাভেদ আখতার ও শাবানা আজমির সঙ্গে বৈঠকও বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ সেখানে যে সিদ্ধান্ত হবে তা বিনোদন জগতে ছড়িয়ে পড়বে। তাতে সর্বভারতীয় স্তরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্ত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তাই নয়াদিল্লিতে ২৫ জুলাই থেকে ২৯ জুলাই পর্যন্ত যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রহণযোগ্যতাই বাড়ছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।