প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, স্টেশনে কৃতিকার সঙ্গে দেখা গিয়েছিল যুবককে। সেই যুবকই তাঁর খুড়তুতো ভাই বলে জানা যাচ্ছে। আর যুবক ফিরে যেতেই ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্নঘাতী হয়ে যান কৃতিকা। মুহূর্তে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় তরুণীর দেহ। যে তরুণী কৃতিকা সবে পা দিয়েছিলেন যৌবনে। ১৯ বছর বয়সে স্বপ্ন দেখেছিলেন তাঁর খুড়তুতো ভাইয়ের সঙ্গে ঘর বাধার। প্রেমে ছিলেন বুঁদ। আর সেই কৃতিকার সমস্ত স্বপ্ন বাধা পায় পরিবারের সামনে এসে।
ঘটনা তামিলনাড়ুর কুড্ডালোরের। সেখানে কলেজে কমার্স নিয়ে পড়ছিলেন কৃতিকা। তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী কৃতিকা বিয়ে করতে চেয়েছিলেন তাঁর খুড়তুতো ভাইকে। সেই কথা পরিবারে জানাজানি হয়। এরপর পরিবারের সকলে তাঁকে বাধা দেন। বিরক্ত হয়ে কৃতিকা কথা বলতে চান তাঁর খুড়তুতো ভাইয়ের সঙ্গে। আর সেই কারণেই ঘটনার দিন তিনি স্টেশনে ডেকেছিলেন ওই ভাইকে। শেষে সব স্বপ্ন চূড়! একেবারে ভেঙে পড়েন কৃতিকা। অন্যদিকে, আসতে থাকে ট্রেন। আর তার দিকে ঝুঁকে পড়েই নিমেষে নিজের প্রাণ বিসর্জন দেন তিনি। বহু আবেগের আনাগোনার মাঝে এই তরুণীর এমন আত্মহত্যার ঘটনা নিয়ে রীতিমতো তোলপাড় কুড্ডালোর।
খুড়তুতো ভাইয়ের সঙ্গে তাঁর বিয়েতে কেউ রাজি না হওয়ায় এমনভাবে প্রাণ বিসর্জন দেন কৃতিকা। মনে করা হচ্ছে, সমস্ত জায়গা থেকে এভাবে বাধা পেয়ে তরুণ মনের ইচ্ছাকে সঙ্গে নিয়েই নিজেকে শেষ করে দিতে চেয়েছিলেন কৃতিকা। পরিবার বলছে, বহুদিন ধরেই হতাশা দানা বাঁধতে থাকে তাঁর মনে। টিউশন থেকে এসেও হতাশায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়তে থাকেন কৃতিকা। তারপরই এভাবে নিজেকে শেষ করে দেওয়ার ইচ্ছা জাগে বলে জানাচ্ছে পরিবার। সব মিলিয়ে এই পরিস্থিতিতে পরিবার কন্যা হারানোর শোকে আর্তনাদে বিধ্বস্ত।