ঝাড়খণ্ডের গিরিডির পাঁচবা থানা এলাকায় ১২ জুনের রাত ব্যাপক উত্তজেনা দেখা দেয় সাম্প্রদিয়াক পরিস্থিতি ঘিরে। অনেকেরই অভিযোগ একটি বিশেষ ধর্মের দিকে পুলিশ প্রশাসন ঝুঁকে গোটাা পরিস্থিতির মোকাবিলা করে। এদিকে, হিংসার জেরে গিরিডিতে বহু দোকনা মঙ্গলবার ছিল বন্ধ। আর সেই বন্ধ দোকনেই বিক্রির পোস্টার লাগিয়ে দেওয়া হয়।
সাম্প্রদায়িক হিংসার জেরে থমথমে ঝাড়খণ্ডের গিরিডি। অভিযোগ সেখানে ১৫০ টি দোকানে বিক্রির পোস্টার লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। ১২ জুনের সাম্প্রদায়িক হামলার পর পুলিশ এলাকা থেকে একাধিক জনকে গ্রেফতার করে। তবে অভিযোগ যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তারা আসল দোষী নয়। আসল দোষীরা খোলাখুলি ঘুরে বেড়াতে শুরু করেছে বলে অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে বিজেপি নেতা তথা এলাকার প্রাক্তন বিধায়ক নির্ভয় কুমার শাহাবাদী পুলিশ স্টেশনে গিয়ে আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তারপর পুলিশ জানায় ঘটনায় কারোর কোনও অভিযোগ থাকলে তা পুলিশ স্টেশনে এসে লিখিত আকারে জানালে পুলিশ অবশ্যই পদক্ষেপ করবে। এদিকে, পরিস্থিতি ভয়াবহ দিকে যেতেই এলাকার বহু দোকান বন্ধ ছিল। সেই সময় এক বিশেষ সম্প্রদায়ের ব্যক্তিদের বন্ধ দোকানে ‘ দোকান বিক্রি হবে’ এমন বার্তা দেওয়া আছে। শুধু দোকান নয়, বাড়ি বিক্রির পোস্টার ফেলা হয়েছে।
আপাতত অবিলম্বে দোষীদের স্বাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন মানুষ। এদিকে, এভাবে পর পর বাড়ি ও দোকান বিক্রির ঘটনার পর বিজেপি নেতারা বসেছেন বিক্ষোভে। অন্যদিকে, এলাকায় অনেকেরই দাবি, জনৈক ব্যক্তির প্ররোচনাতে এই কাণ্ড ঘটেছে। আর তাঁর কথাতেই পুলিশ একতরফা কাজ করছে। তবে পুলিশ সাফ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।