আরও একটা বাড়তি ছুটি সপ্তাহে! ভাবতে পারছেন? ধরুন, সপ্তাহে দুই দিন কাজ করলেন, সঙ্গে পাওয়া গেল আরও একটি দিনের ছুটি। মোট তিন দিন ছুটির কথা ভাবতেই পারছেন না লন্ডনের ৩৬ বছর বয়সী লুইস বুমসফিল্ড। অপেক্ষা করছেন কবে আসবে জুন মাস। কারণ সেই মাস থেকেই ইউকের সংস্থাগুলি এই অভিনব ভাবনার ট্রায়াল শুরু করছে।
লুইস ও তাঁর সঙ্গীরা 'প্রেশার ড্রপ' ব্রিউয়ারিতে কর্মরত। তাঁদের মতো ইউকের আরও ৬০ সংস্থায় রয়েছেন ৩০০০ জন কর্মচারী, যাঁদের নিয়ে সংস্থাগুলি এবার সপ্তাহে চারদিন কাজ ও বাকি ৩ দিন ছুটির ব্যবস্থাপনা নিয়ে পরীক্ষা শুরু করবে। এই নীরীক্ষণ এযাবৎকালে বিশ্বে প্রথম। এর আগে এই ধরনের ট্রায়াল স্পেন, ইউনাইটেড স্টেটস, স্পেন ও কানাডায় হয়েছে। নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া এই চারদিন কাজের বিধি শুরু করতে চলেছে অগাস্ট থেকে। মূলত ইউকেতে, 'ফোর ডে উইক গ্লোবাল' এই নয়া কর্ম সংস্কৃতির উদ্যোগের নেপথ্যে রয়েছে। সংস্থার তরফে এই পরীক্ষা নীরিক্ষার তথ্য নিয়ে তা খতিয়ে দেখা হবে। বিশ্লেষণও করা হবে। সংস্থা বলছে, ছোট ছোট অফিসগুলি এই পদ্ধতিতে গ্রহণ করতে পারে, তারাই বিশ্বে বড় পরিবর্তন সহজে আনতে পারে। সমলিঙ্গের সঙ্গিনীকে জোর করে দূরে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে সরব মহিলা! কাঠগড়ায় কে?
এই পরীক্ষার উদ্যোগের আরও একটি সহায়ক প্রতিষ্ঠান 'রয়্যাল সোসাইটি অফ বায়োলজি', তারা বলছে, ইউকে বর্তমানে কর্মীর সংখ্যায় রেকর্ড কমতি দেখা যাচ্ছে। আর তা পূরণ করতে কর্মীদের সুবিধার দিকটিও ভাবতে হবে। সেই জায়গা থেকে এই ব্যবস্থাপনা খুবই জরুরি। এদিকে যে সমস্ত সংস্থা এই ট্রায়ালের মধ্যে রয়েছে, তারা মনে করছে এই পদ্ধতিতে নতুন ধরনের কর্মপদ্ধতি চালু করা যাবে, শেখা যাবে নতুন পন্থা। তবে পরিষেবাধর্মী সংস্থায় এভাবে কর্মীদের ছুটি দেওয়াটা কতটা উপযুক্ত হবে তা নিয়ে রয়েছে নানান প্রশ্ন। দেখা যাচ্ছে এক সপ্তাহে ইউকেতে যে সময় ধরে কাজ করানো হয় অফিসের কর্মীদের তার থেকে নেদারল্যান্ডস, সুইডেন, ডেনমার্কে আরও কম সময় কাজ করানো হয়, আর তা সাফল্য এনে দিয়েছে, এই বক্তব্য, 'দ্য কেস অফ ফোর ডেইজ এ উইক' এর লেখক ইয়েট আইদেন হারপারের। আপাতত ইউকের ট্রায়াল ঘিরে রয়েছে সকলের নজর।