স্কুল বাস থেকে উদ্ধার হল কন্ডোম। অবিশ্বাস্য মনে হলেও এটাই সত্যি। গুরুগ্রামের একটি বেসরকারি স্কুল বাসে এক প্যাকেট মেনস কন্ডোম ও মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়া অ্য়ান্টিসেপটিক লোশন ও ব্যথা নাশক মলম পাওয়া গিয়েছে। একটি বেসরকারি স্কুল বাসের মধ্যে থাকা ফার্স্ট এইড কিটের মধ্য়ে মিলেছে এই কন্ডোম। এখানেই প্রশ্ন যে স্কুল বাসে পড়ুয়ারা যাতায়াত করে সেখানে কন্ডোম দিয়ে কী হয়? কীভাবে জানা গেল বিষয়টা?
সূত্রের খবর, আসলে শুক্রবার সেক্টর ৫৬তে সরকারি কর্তৃপক্ষের তরফে রুটিন নজরদারি চলে। স্কুল বাসের পরিস্থিতিও সেই সময় খতিয়ে দেখা হয়। আর তখনই বাসের ফার্স্ট এইড কিট থেকে পাওয়া গেল কন্ডোম।
বাদশাহপুর সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট সতীশ যাদবের নেতৃত্বে এই ইনসপেকশন টিম সেক্টর ৫৬র ওই স্কুল বাসটি খতিয়ে দেখে। আর তখনই একেবারে তাজ্জব কাণ্ড!
সোহনা সাবডিভিশনাল ম্য়াজিস্ট্রেট জিতেন্দ্র কুমার এই টিমের সদস্য হিসাবে ছিলেন। তাঁরা এই স্কুল বাসের একাধিক অসঙ্গতিকে চিহ্নিত করেছেন। তাঁরা দেখেন যে বাসে আটজন বসতে পারে সেই বাসে একেবারে চাপাচাপি করে ২৭জন পড়ুয়াকে তুলে ফেলা হচ্ছে।এমনকী কোনও অনুমোদন ছাড়াই একাধিক স্কুল বাস চালানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে নজরদারি টিমের সদস্য়রা ওই স্কুলের ১১টি বাস পরীক্ষা করে দেখেন। এরপর একটি বাস থেকে কন্ডোম উদ্ধার করা হয়েছে। এরপর মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধও পাওয়া গিয়েছে বাস থেকে। তার মধ্যে একটি অ্যান্টিসেপটিক মলম ছিল। যেটির মেয়াদ ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে শেষ হয়ে গিয়েছে।
অপর একটি পেনকিলারের পাতা পাওয়া গিয়েছে যেটি ২০২০ সালেই মেয়াদ পেরিয়ে গিয়েছে। সেই ওষুধই রাখা ছিল স্কুল বাসে।
এক সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন, একটি চাকা ও লোহার রেঞ্চও ছিল স্কুল বাসের মধ্যে। এটা পড়ুয়াদের সুরক্ষার ক্ষেত্রে প্রশ্ন চিহ্ন ফেলেছে।
আধিকারিকরা জানিয়েছেন, সঠিক রঙ দিয়ে স্কুল বাসগুলিকে কোডিং করা নেই। স্কুল কর্তৃপক্ষকে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। তাদের উত্তরের জন্য আপাতত অপেক্ষা করা হচ্ছে। গুরুগ্রামের ডেপুটি কমিশনার নিশান্ত কুমার যাদব জানিয়েছেন, স্কুল বাস থেকে পুরুষদের জন্মনিরোধক পাওয়া গিয়েছে। এটা অপরাধ। আমি এনিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি।
তিনি জানিয়েছেন, ১ ডিসেম্বর থেকে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত ২০টি বেসরকারি স্কুলের বাসগুলি খতিয়ে দেখা হয়েছিল। তার মধ্যে সাতটি ক্ষেত্রে বড় গলদ পাওয়া গিয়েছে।