নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে মোদীর হাতে মোদীর ছবি তুলে দেন ভারতীয় বোর্ডের সভাপতি জয় শাহ। যা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়ল না কংগ্রেস। শতাব্দীপ্রাচীন দলের খোঁচা, সবেতেই ‘আমি, আমি’ করার চূড়ান্ত উদাহরণ তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। পালটা অবশ্য বিজেপির দাবি, এটা পুরোপুরি ক্রিকেট কূটনীতি। যা অত্যন্ত কার্যকরী বলেও দাবি করেছে গেরুয়া শিবির।
বৃহস্পতিবার আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে ভারত-অস্ট্রেলিয়ার চতুর্থ টেস্ট শুরুর আগে মাঠে আসেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানেজ। ১৯৪৭ সালে ক্রিকেট মাঠে দুই দেশের যে সম্পর্ক শুরু হয়েছিল, তা ৭৫ বছরে পা দেওয়ার বিশেষ মুহূর্তটা উদযাপনের জন্য আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়াম সেজে ওঠে। রথের মতো গাড়িতে চেপে মাঠ প্রদক্ষিণ করেন মোদীরা।
তারইমধ্যে মাঠের মধ্যে তৈরি করা অস্থায়ী মঞ্চে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যালবানেজকে অভ্যর্থনা জানান ভারতীয় বোর্ডের প্রেসিডেন্ট তথা ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য রজার বিনি। অ্যালবানেজের ছবি দেওয়া একটি স্মারক তুলে দেন তিনি। অন্যদিকে, মোদীকে অভ্যর্থনা জানান বিসিসিআইয়ের সচিব। অ্যালবানেজের মতোই ভারতের প্রধানমন্ত্রীর হাতে তাঁরই ছবি দেওয়া একটি স্মারক তুলে দেন।
সেই ছবি নিয়ে তুমুল কটাক্ষ করেছে কংগ্রেস। শতাব্দীপ্রাচীন দলের সাংসদ জয়রাম রমেশ বলেন, 'নিজের জীবনকালে নিজের নামেই স্টেডিয়াম করে সেই স্টেডিয়ামেই প্রদিক্ষণ করা- আত্মমগ্নতার চূড়ান্ত রূপ।' সেখানেই থামেননি বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা। বিসিসিআই সচিব যে মোদীকে অভ্যর্থনা জানাচ্ছিলেন, সেই ছবি পোস্ট করে তিনি বলেন, 'দাঁড়ান, দাঁড়ান, আত্মমগ্নতার আরও প্রমাণ আছে।' তারপর ওই অনুষ্ঠানের টুইট রিটুইট করে রমেশ বলেন, 'আত্মমগ্নতা অবিরত চলে যাচ্ছে।'
যদিও পুরো বিষয়টি কূটনীতির অংশ বলে দাবি করেছে বিজেপি শিবির। মোদী, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী, ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা এবং অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক স্টিভ স্মিথের ছবি পোস্ট করে বিজেপির তথ্যপ্রযুক্তি সেলের প্রধান অমিত মালব্য বলেন, ‘ক্রিকেট কূটনীতি। এটা কাজে দেয়।’
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup)