বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > কাশ্মীর,বাংলাদেশে হিন্দুদের হত্যা কি এক সূত্রে গাঁথা? বৃহত্তর ইসলামি তত্ত্ব নিয়ে প্রশ্ন কংগ্রেস নেতার

কাশ্মীর,বাংলাদেশে হিন্দুদের হত্যা কি এক সূত্রে গাঁথা? বৃহত্তর ইসলামি তত্ত্ব নিয়ে প্রশ্ন কংগ্রেস নেতার

শ্রীনগরে এক জঙ্গিকে খতম করে নিরাপত্তারক্ষীরা (ছবি সৌজন্যে এএনআই) (Mohammad Amin War)

বাংলাদেশে হিন্দুদের মৃত্যু এবং কাশ্মীরে অমুসলিমদের হত্যা নিয়ে এবার সরব হলেন কংগ্রেস মুখপাত্র তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মণীশ তিওয়ারি।

বাংলাদেশে হিন্দুদের মৃত্যু এবং কাশ্মীরে অমুসলিমদের হত্যা নিয়ে এবার সরব হলেন কংগ্রেস মুখপাত্র মণীশ তিওয়ারি। এই হত্যাকাণ্ডগুলি পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন করেন কংগ্রেস নেতা। তাঁর অভিযোগ, দক্ষিণ এশিয়া জুড়ে বৃহত্তর ইসলামি একটি এজেন্ডা কাজ করছে।

এদিন কয়েকটি খবরের লিঙ্ক টুইট করে ক্যাপশনে মণীশ তিওয়ারি লেখেন, 'কাশ্মীরে অমুসলিমদের হত্যা এবং বাংলাদেশে হিন্দুদের হত্যা এবং পুঞ্চে ব্যাপক অনুপ্রবেশের ফলে নয়জন জওয়ান নিহত হওয়ার মধ্যে কি কোনও যোগসূত্র আছে? সম্ভবত তাই। দক্ষিণ এশিয়ায় একটি বৃহত্তর ইসলামিস্ট এজেন্ডা কাজ করছে।'

উল্লেখ্য, দুর্গাপুজোর সময় পরপর বেশ কয়েকটি হামলায় বহু দুর্গামণ্ডপ ভাঙা হয় বাংলাদেশের কুমিল্লা, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম সহ একাধিক স্থানে। হিংসার ঘটনায় অনেকে মারা যায়। এরপর সেদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হিংসা থামাতে ২২টি জেলায় বিজিবি মোতায়েন করেন। এরপরও নোয়াখালিতে ইসকন মন্দিরে হামলা চালানো হয়। সেই ঘটনাতেও দুই জনের মৃত্যু হয়।

গত বুধবার অষ্টমীর দিন থেকে বাংলাদেশ কার্যত জ্বলছে। হিংসার সূত্রপাত হয় বাংলাদেশের পূর্বা প্রান্তে অবস্থিত কুমিল্লা জেলায়। তার পর তা ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন জায়গায়। সেখানে একাধিক জেলায় দুর্গাপুজো মণ্ডপ ভাঙা হয়েছে। একাধিক মন্দিরে হামলা চালানো হয়েছে। সেখানে সংখ্যালঘু হিন্দুরা আক্রান্ত বলে অভিযোগ। বিভিন্ন জায়গায় হিংসার ঘটনাও ঘটেছে বলে অভিযোগ। বেশ কয়েকজন মারা গিয়েছেন। অনেকে জখম।

এদিকে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ক্রমাগত অমুসলিমদের খুঁজে খুঁজে হত্যা করা হচ্ছে কাশ্মীরে। কাশ্মীরি পণ্ডিত থেকে কাশ্মীরে কর্মরত ভিনরাজ্যের শ্রমিক, শিখ, অনেকেই শিকার হয়েছেন জঙ্গিদের হামলার। গতকালও উপত্যকায় দু'টি পৃথক ঘটনায় জঙ্গিদের হাতে প্রাণ হারান দুই সাধারণ নাগরিক। এই পরিস্থিতিতে এই দুই জায়গার এই হত্যাকাণ্ড এবং হিংসার ঘটনাকে এক সূত্রে গাঁথার কথা বলছেন মণীশ তিওয়ারি। তার সঙ্গে অবশ্যই অনুপ্রবেশের যোগ রয়েছে। উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে ইসলামিক স্টেট খোরাসান আফগানিস্তানে নিজেদের আত্মপ্রকাশ ঘটায়। সার্বিক ভাবে দক্ষিণ এশিয়াকে মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা করতে চায় এই সংগঠন। এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেস নেতার এহেন উদ্বেগ বেশ তাত্পর্যপূর্ণ।

 

 

বন্ধ করুন