টুইটারের সিইও পরাগ আগরওয়ালকে চিঠি দিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। টুইটার প্রধানকে গত ২৭ ডিসেম্বর লেখা এক চিঠিতে রাহুল গান্ধী অভিযোগ করেন, ২০২১ সালের অগস্টে রাহুল গান্ধীর টুইটার অ্যাকাউন্ট সাময়িক ভাবে ব্লক হওয়ার পর থেকেই তাঁর অ্যাকাউন্টে ফলোয়ার্স সেভাবে বাড়ছে না। পরাগকে লেখা চিঠিতে রাহুল নাকি অভিযোগ করেন যে হয়ত মোদী সরকারের চাপে পড়েই তাঁর ফলোয়ার্স সংখ্যা বাড়তে দিচ্ছে না টুইটার।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও কংগ্রেস নেতা শশি থারুরের ফলোয়ার্সের তুলনা করে রাহুল লেখেন, ‘আমি দিল্লির ধর্ষিতার পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছিলাম, কৃষকদের সমর্থন ও একাধিক মানবাধিকার ইস্যুতে সরকারের বিরুদ্ধে লড়েছিলাম। এই আবহে আমি আগেও টুইটার ইন্ডিয়ার কর্মীদের কাছ থেকে জানতে পেরেছিলাম যে সরকারের তরফে তাদের উপর প্রবল চাপ সৃষ্টি করা হয় আমার কণ্ঠরোধ করার জন্য।’ উল্লেখ্য, গতবছর মে মাসে রাহুল গান্ধীর অ্যাকাউন্টটিকে ফলো করেন ৬ লক্ষ ৩৮ হাজার জনেরও বেশি। সেখানে অক্টোবর ও নভেম্বরে যথাক্রমে রাহুলের ফলোয়ার বাড়ে ২৩৮০ ও ২৭৮৮ জন করে। এই দুই মাসে প্রধানমন্ত্রী মোদীর ফলোয়ার সংখ্যা বাড়ে সাড়ে সাত লক্ষ করে। অমিত শাহের ফলোয়ার সংখ্যা বাড়ে যথাক্রমে ২ লক্ষ ৬৭ হাজার, ৩ লক্ষ ২০ হাজার করে। এই বৈষম্য নিয়েই সরব হয়েছেন রাহুল গান্ধী।
রাহুল গান্ধী নিজের চিঠিলেখেন, ‘অকারণেই আমার টুইটার অ্যাকাউন্ট বেশ কয়েকদিনের জন্য বন্ধ করা হয়েছিল। সরকারি অ্যাকাউন্ট সহ একাধিক টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে ওই ছবিই পোস্ট করা হয়েছিল, কিন্তু সেই অ্যাকাউন্টগুলি বন্ধ করা হয়নি। শুধুমাত্র আমার অ্যাকাউন্টটিকেই নিশানা করা হয়েছিল। আমি ১০০ কোটিরও বেশি ভারতীয়ের হয়ে কথা বলছি। ভারতের চিন্তাধারাকে ধ্বংস করার প্রচেষ্টায় হাতিয়ার হবেন না।’ এদিকে রাহুলের অভিযোগের প্রেক্ষিতে টুইটারের মুখপাত্র বলেন, ‘ফলোয়ার্সদের সংখ্যা সবাই দেখতে পান এবং আমরা চাই যে প্রত্যেকের এই সংখ্যার প্রতি আস্থা থাকুক৷ এই সংখ্যাগুলি অর্থপূর্ণ এবং নির্ভুল৷ প্ল্যাটফর্ম ম্যানিপুলেশন এবং স্প্যামের ক্ষেত্রে টুইটারের জিরো-টলারেন্স পদ্ধতি মেনে চলে।’