রাজ্যে শিল্পক্ষেত্রে লাগাতার মন্দা চলেছে, প্রতিবাদে বিধানসভা চত্বরের ভিতরে নিজের হাত কেটে রক্ত দিয়ে পোস্টার লিখলেন অসমের কংগ্রেস বিধায়ক রূপজ্যোতি কুর্মি।
মঙ্গলবার যোরহাটের মারিয়ানি কেন্দ্রের বিধায়ক রূপজ্যোতি বিধানসভার প্রবেশপথের সামনে আচমকা বসে পড়েন। তারপর সাংবাদিক ও টিভি ক্যামেরার উপস্থিতিতে ব্লেড দিয়ে বাঁ-হাতের তালু কেটে ফেলেন।
এদিন নগাঁও ও কাছার পেপারমিল চালু করার দাবিতে রাজ্যের ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন রূপজ্যোতি। মিলগুলি দীর্ঘ কয়েক বছর যাবত্ বন্ধ থাকার পরে সম্প্রতি নিলামে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া, ব্রহ্মপুত্র উপত্যকা সার নিগমের নামরূপে অবস্থিত কারখানা, হাতিখিরা ও আইলাবাড়ি চা-বাগান বন্ধ হয়ে যাওয়া নিয়েও বিক্ষোভ প্রদর্শন করছিলেন কংগ্রেস বিধায়ক।
হাত কেটে নিজের রক্ত দিয়ে তিনি পোস্টারের ওপরে লেখেন, ‘জাতি, মাটি, ভেটির (ভিটে) নামে অসমের মানুষের সম্মান ও ভবিষ্যত্ বিক্রি করতে দেওয়া যায় না। জয় আই (মা) অসম।’
২০১৬ সালে ‘জাতি মাটি ভেটি’ সুরক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়েই বিধানসভা নির্বাচনে জিতে অসমে ক্ষমতাসীন হয় বিজেপি সরকার।
ঘটনায় উদ্বিগ্ন অসম বিধানসভার অধ্যক্ষ হিতেন্দ্রনাথ গোস্বামী। কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনী থাকা সত্ত্বেও কী করে বিধানসভা চত্বরে ধারানো ব্লেড নিয়ে কংগ্রেস বিধায়ক প্রবেশ করলেন, তা জানতে তিনি পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
তবে রূপজ্যোতি কুর্মির এই উদ্যোগ সমর্থন করেননি তাঁর দলীয় সতীর্থরা। অসম বিধানসভায় কংগ্রেস দলনেতা দেবব্রত শইকিয়া বলেন, ‘ও য়ে এমন ভাবে প্রতিবাদ জানাবে তা জানতাম না। শাসকদলের বিরুদ্ধে কোনও রকম গণতান্ত্রিক প্রতিবাদ নিয়ে আমার আপত্তি নেই। কিন্তু নিজেকে শারীরিক আঘাত করার এই পদক্ষেপ সমর্থন করা যায় না।’
রক্তাক্ত বিধায়ককে বিধানসবা চত্বরের এক চিকিত্সাকেন্দ্রে নিয়ে গেলে তাঁর হাতে তিনটি সেলাই করেন চিকিত্সক। সেই সঙ্গে তাঁকে কিছু ওষুধও খেতে দেওয়া হয়।