রাজস্থানের তিনটি আসনের পুনর্নির্বাচনের ফলাফলে প্রত্যাশা মতোই দু’টি আসন ধরে রাখতে সক্ষম হল কংগ্রেস। আর তৃতীয়টি গেল বিজেপির ঝুলিতে। রাজস্থানের সুজনগড় ও সাহারা আসেন জিতল কংগ্রেস। ওদিকে বিজেপি জয় পেল রাজসামন্দ কেন্দ্রে। সাংসদের মৃত্যুর কারণে ওই কেন্দ্রগুলোতে পুনর্নির্বাচন হয়। সাহারা(ভিলওয়াড়া)—র আসনে কংগ্রেস প্রার্থী গায়ত্রী দেবী তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বিজেপি’র রতনলাল জটকে ৩৮,০০০ ভোটে পরাজিত করেন। সুজনগড় কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থী মনোজ মেঘওয়াল তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বিজেপি’র খেমা রামকে ২৩,৫০০ ভোটে পরাজিত করেন। আর রাজসামন্দ কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী দীপ্তি মহেশ্বরী তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি কংগ্রেসের তনসুখ ভোরাকে ৫,৩০০ ভোটে পরাজিত করেছেন।
১৭ এপ্রিল হওয়া পুনর্নির্বাচনে এই তিনটি আসনে মোট ভোট পড়েছিল ৬০.৩৭ শতাংশ।তার মধ্যে চুরু জেলার সুজনগড় কেন্দ্রে ৫৮.২১ শতাংশ ভোট পড়ে। রাজসামন্দে ভোট পড়ে ৬৭.২৩ শতাংশ ও ভিলওয়াড়া জেলার সাহারায় ভোট সংখ্যা দাঁড়ায় ৫৬.৬০ শতাংশ।ওইদিন মোট ৪৪,৯৮,৮৫ জন ভোটার ভোট দিতে বেরিয়েছেন।
২০১৮—র বিধানসভা নির্বাচনে সাহারায় ৭৩.৫৬ শতাংশ, সুজনগড়ে ৭০.৬৮ শতাংশ ও রাজসামন্দে ৭৬.৫৯ শতাংশ ভোটগ্রহণ হয়েছিল। তবে এই নির্বাচনের ফলে অশোক গহলোট সরকারের স্থিতিশীলতায় কোনও প্রভাব না—পড়লেও বিজেপি ও কংগ্রেসের পালে কিছুটা হাওয়া লাগল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
সেখানকার কংগ্রেস রাজ্য সভাপতি গোবিন্দ সিং দোতাশরা ও বিজেপির রাজ্য সভাপতি সতীশ পুনিয়া উভয়ই তিনটি আসনেই ব্যাপক হারে প্রচার চালিয়েছিলেন। সেখানে অশোক গহলোট ও বসুন্ধরা রাজের মতো শীর্ষ নেতারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দূরে ছিলেন।
ওই তিনটি কেন্দ্রে বিধায়কদের মৃত্যুর পরে এই পুনর্নির্বাচন করা হয়েছিল। কংগ্রেস যথাক্রমে সুজনগড় ও সাহারা আসনে প্রাক্তন আইন মন্ত্রী ভান্বরলাল মেঘওয়ালের ছেলে মনোজ ও প্রাক্তন বিধায়ক কৈলাশ ত্রিবেদির স্ত্রী গায়ত্রী দেবীকে প্রার্থী করে। এদিকে রাজসমন্দে ব্যবসায়ী তনসুখকে টিকিট দিয়েছিল ক্ষমতাসীন দল। আবার রাজসমন্দে কিরণ মহেশ্বরীর মেয়ে দীপ্তী মহেশ্বরীকে বিজেপির প্রার্থী করা হয়। এছাড়াও সুজনগড়ের সাংসদ রতনলাল জট ও প্রাক্তন মন্ত্রী খেলামার মেঘওয়ালকে প্রার্থী করে গেরুয়া শিবির।
আসনগুলো জেতার পর জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও সকল কংগ্রেস নেতা—কর্মীদের অভিনন্দন জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট বলেন, ‘কংগ্রেস প্রার্থীদের আশীর্বাদ ও সমর্থন দিয়ে এই অঞ্চলের মানুষ আমাদের সরকারকে আরও শক্তি দিয়েছে।’