ফের বিতর্কে এনসিইআরটির বই। মুঘল যুগ, মহাত্মা গান্ধীকে ঘিরে পাঠ্যপুস্তরের অধ্যায়ে বহু অংশ বাদ পড়া ইস্যুতে বিতর্কের পর এবার নতুন বিতর্কে মৌলানা আজাদ প্রসঙ্গ। তাঁকে উল্লেখ করে একাদশ শ্রেণির পাঠ্য়পুস্তকে যে অংশ ছিল তা পাঠ্যক্রম থেকে বাদ পড়েছে বলে খবর।
একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বইতে মৌলানা আবুল কালাম আজাদের প্রসঙ্গে এক উল্লেখিত অংশ বাজ পড়েছে। আর তা ঘিরেই ফের একবার বিতর্কের লাইমলাইটে এনসিইআরটি। এনসিইআরটির পাঠ্যপুস্তক থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে দেশের প্রথম শিক্ষামন্ত্রী মৌলানা আবুল কালাম আজাদের নাম। নতুন শিক্ষাবর্ষের বই পড়ুয়ারা হাতে পেতেই দেখা গিয়েছে এই পরিবর্তন। আগে এই বইতে, যে অধ্যায়ে ‘সংবিধান কেন এবং কীভাবে’ শীর্ষক পর্ব ছিল, সেখানে উল্লেখ থাকত, জওহরলাল নেহরু, রাজেন্দ্র প্রসাদ, মৌলানা আবুল কালাম আজাদ, বিআর আম্বেদকর, রাজেন্দ্র প্রসাদদের নাম। তবে এবার সেই নামের তালিকায় বাদ গিয়েছে মৌলানা আবুল কালাম আজাদের নাম। নতুন সংস্করণের বইতে কেন এই পরিবর্তন তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। এর আগে, এনসিইআরটির পাঠ্যপুস্তক ঘিরে জায়গা করে নিয়েছিল একাধিক বিতর্ক। প্রথমেই উঠে আসে মুঘল আমল সম্পর্কে অধ্যায় ঘিরে বিতর্ক। সেটি বাদ পড়েছে এমন ইস্যুতে মুখ খোলে এনসিইআরটি। ওঠে কমিটিক পরামর্শের প্রসঙ্গ। এরপর, মহাত্মা গান্ধী সম্পর্কে এক অধ্যায়ে আরএসএস নিয়ে একটি অংশ, যা আগের সংস্করণের বইতে ছিল, তা বাদ পড়ার প্রসঙ্গ ওঠে। এছাড়াও সেখানে গডসে সম্পর্কে ‘পুনের ব্রাহ্মণ’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। যা ঘিরে নতুন করে বিতর্ক দানা বেঁধেছে।
( সরকার বিরোধিতার 'শাস্তি' ! মায়ানমারে সেনার এয়ারস্ট্রাইকে গ্রামে নিহত ১৩৩)
তারই মাঝে মৌলানা আবুল কালাম আজাদের নাম উল্লেখের জায়গা থেকে বাদ যাওয়ায় বিতর্কের মাত্রা বেড়েছে। এনসিইআরটি অবশ্য দাবি করেছে যে এই বছর কোনও পাঠ্যক্রম ছাঁটাই করা হয়নি এবং সিলেবাসটি গত বছরের জুনে যুক্তিযুক্ত করা হয়েছিল। এনসিইআরটির ডিরেক্টর দীনেশ সাকলানি বলছেন, যৌক্তিক বিষয়বস্তু বইতে উল্লেখ না পাওয়ার কিছু পরিবর্তন হতে পারে ‘ভ্রম’-এর যাওয়ার ব্যাপার। শুধু মৌলানা আবুল কালাম আজাদের নাম বাদ পড়া ছাড়াও ‘সংবিধানের দর্শন’ শীর্ষক অংশে জম্মু ও কাশ্মীরের শর্ত সাপেক্ষে যোগদান ইস্যুটিও বাদ পড়েছে বলে খবর।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup