করোনাভাইরাস মোকাবিলায় এবার প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, সাংসদদের বেতন কমানোর সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। পাশাপাশি, রাষ্ট্রপতি, উপ-রাষ্ট্রপতি ও রাজ্যপালরাও বেতন কম নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
আরও পড়ুন : করোনা মোকাবিলায় লকডাউনের পরেও সামাজিক দূরত্ব মানা জরুরি, জানালেন প্রধানমন্ত্রী
সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে বৈঠকে বসে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। বৈঠকে ১৯৫৪ সালের অ্যালোয়েন্স অ্যান্ড পেনশন অফ মেম্বার্স অফ পার্লামেন্ট অ্যাক্ট সংশোধন করে একটি অর্ডিন্যান্সে সিলমোহর দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন : Coronavirus Updates: নিউ ইয়র্কে করোনা আক্রান্ত বাঘ, ভারতের চিড়িয়াখানায় জারি চূড়ান্ত সতর্কতা
পরে সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর জানান, সামাজিক দায়িত্ব হিসেবে সাংসদদেরও অনুদানের বিষয়টি বৈঠকে আলোচনা হয়। তারপরই প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী-সহ সব সাংসদদের বেতন ৩০ শতাংশ কমানোর সিদ্ধান্ত হয়। চলতি বছরের ১ এপ্রিল থেকে আগামী এক বছর ৭০ শতাংশ বেতন নেবেন তাঁরা। সবাই সম্মিলিতভাবেই সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তিনি বলেন, 'চ্যারিটি বিগিনস অ্যাট হোম।'
আরও পড়ুন : 9PM9Minutes- 'চাইনিজ ভাইরাস গো ব্যাক' বলে মশাল জ্বালিয়ে প্রতিবাদ করলেন বিজেপি বিধায়ক
পাশাপাশি রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, উপ-রাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু এবং রাজ্যপালরাও ৩০ শতাংশ বেতন কম নেবেন বলে জানান। জাভড়েকর বলেন, 'সামাজিক দায়িত্ব হিসেবে রাষ্ট্রপতি, উপ-রাষ্ট্রপতি ও রাজ্যপালরা স্বেচ্ছায় বেতন কম নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সেই অর্থ সম্মিলিত তহবিলে (কনসোলিডেটেড ফান্ড) জমা পড়বে।'
আরও পড়ুন : করোনার থেকেও ভয়ঙ্কর কেজরিওয়াল সরকারের অহংকার, টাকা না নেওয়ায় তোপ গম্ভীরের
পাশাপাশি, করোনা মোকাবিলায় আগামী দু'বছরের সাংসদ উন্নয়ন তহবিলে (এমপিল্যাড) টাকা (প্রায় ৭,৯০০ কোটি টাকা) জমা পড়বে না বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেই অর্থও ওই ফান্ডে চলে যাবে। তবে রাজ্যের মন্ত্রীরাও বেতন নেবেন কিনা, সে বিষয়ের সিদ্ধান্ত নেবে সংশ্লিষ্ট রাজ্য।