কোভিডের ফলে লকডাউন। এর জেরে বিদেশে আটকে পড়েছেন অনেক ভারতীয় যারা দেশে ফিরতে চান। এবার তাদের জন্য বিশেষ বিমান পাঠানোর প্রস্তুতি চালু করল কেন্দ্র। শুক্রবার থেকে চূ়ড়ান্ত পরিকল্পনা শুরু হয়েছে। মে মাসের শুরুতেই এসব ভারতীয়দের ফেরত আনা হবে বলে জানা দিয়েছে। মার্চের ২২ তারিখ থেকে আন্তর্জাতিক বিমান বন্ধ দেশে।
গত এক সপ্তাহ ধরে এই বিষয় বৈঠক করছেন প্রধানমন্ত্রী, জানতে পেরেছে হিন্দুস্তান টাইমস। এই বিষয় সরকারি ভাবে প্রথম পদক্ষেপ নিয়েছেন ক্যাবিনেট সচিব রাজীব গৌবা। রাজ্যগুলিকে তিনি বলেছেন হাসপাতাল বেড ও কোয়ারেন্টাইন সেন্টার তৈরী রাখতে যখন এইসব ভারতীয় দেশে ফিরবে। রাজ্যদের মুখ্যসচিব ও পুলিশ প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকে এই কথা বলেন গৌবা।
তেসরা মে অবধি লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। সোমবার সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন মোদী আগামী দিনে কী করা উচিত সেই নিয়ে শলা-পরামর্শ করার জন্য। তবে যেভাবে দোকান খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার, তাতে মনে হচ্ছে অনেকটাই শিথিল হবে লকডাউন,যদি পুরোটা উঠেও না যায়।
ইতিমধ্যে বিদেশমন্ত্রক হিসাব করে দেখছে কত লোক ভারতে ফিরতে চাইবেন। শুধু কেরালার এক লক্ষ মানুষ ফিরতে চাইবেন বাড়িতে বলে কেন্দ্রের অনুমান। এছাড়াও মহারাষ্ট্র, দিল্লি, তেলেঙ্গানা প্রভৃতি রাজ্যে ফিরবেন অনেক এনআরআই। এই জন্য বিশেষ কন্ট্রোল রুম বানাবে এমইএ।
উহান থেকে যে সব ছাত্ররা ফিরেছিলেন তাদের আর্মি ক্যাম্পে রাখতে হয়েছিল কারণ রাজ্যগুলি প্রস্তুত ছিল না। সেই কারণে কেন্দ্র চাইছে এবার রাজ্যগুলি যেন প্রস্তুত থাকে সুনামির মতো যে লোকেরা ফিরবে তাদের জন্য। কী নিয়ম মানা হবে সেটিও রাজ্যদের জানিয়েছেন ক্যাবিনেট সচিব।
যাদের ফেরানো হবে, তাদের সরাসরি তাদের বাড়ির কাছে নিকটতম বিমানবন্দরে নামিয়ে দেওয়া হবে। ল্যান্ড করা মাত্রই ১৪দিনের জন্য কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠিয়ে দেওয়া হবে তাদের। ২২ মার্চ থেকেই কেন্দ্রের ওপর চাপ বাড়ছে ভারতীয়দের দেশে ফেরানোর জন্য। সেই কারণেই গাল্ফ দেশে ফোন করে বিদেশমন্ত্রী বারবার ভারতীয়দের খেয়াল রাখার আবেদন করেছেন। কেবল পশ্চিম এশিয়ায় প্রায় ৯০ লাখ ভারতীয় কাজ করেন।
এছাড়াও ব্রিটেন, আমেরিকা ও ইউরোপের বিভিন্ন কোভিড হটস্পটে আটকে আছেন অনেকে, যারা দ্রুত দেশে ফিরতে চান। তাদের প্রতীক্ষার অবসান হল বলে।