সামাজিক দূরত্ব না মানায় বিএসএফ কর্মীদের মধ্যে করোনা ছড়িয়ে পড়ছে বলে অভিযোগ করলেন ত্রিপুরার মুখ্যন্ত্রী বিপ্লব দেব। শুধু সোমবারই ত্রিপুরায় ১০৭ জনের দেহে করোনা ধরা পড়েছে। সব মিলিয়ে রাজ্যে ৪২০ জন করোনা আক্রান্ত। মে মাসের পাঁচ তারিখ ৪২ জনের শরীরে করোনার চিহ্ন মিলেছিল রাজ্যে। অর্থাত্ দশগুণ বেড়েছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এর মধ্যে ১৬৬জন করোনা পজিটিভ হলেন বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) সদস্য বা তাঁদের পরিবারবর্গ।
ত্রিপুরায় বিএসএফ-এর ১৩৮ ও ৮৬ ব্যাটালিয়ন রয়েছে। এই দুই ব্যাটেলিয়নে করোনা ছড়িয়ে পড়ার পরেই বিএসএফের আইজি সলোমন মিঞ্জকে একটা রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছিল সাত দিনের মধ্যে। কিন্ত সেই রিপোর্ট আসেনি। পরে রাজ্য National Centre for Disease Control ( NCDC) পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলে।
সেই অনুসারে North Eastern Indira Gandhi Regional Institute of Health & Medical Sciences (NEIGRIHMS) এর তিন সদস্যের দল আসে এটা বোঝার জন্য যে কী করে করোনা ছড়ালো বিএসএফ ক্যাম্পে। রাজ্যে বিএসএফ ক্যাম্পগুলি ঘুরে নিজেদের রিপো্র্ট দিয়েছে বিশেষজ্ঞ কমিটি।
বিপ্লব কুমার দেব বলেন যে রিপোর্ট তারা পেয়েছেন ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে পাঠিয়ে দিয়েছেন। তদন্তে উঠে এসেছে যে অনেক বিএসএফ কর্মী বাইরে গিয়েছিলেন ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে। কিন্তু তারপরেও কোয়ারেন্টাইন বিধি ও সামাজিক দূরত্ব মানেনি তারা। প্রতি দশজন বিএসএফ কর্মীর মধ্যে কম করে যদি একজনেরও পরীক্ষা করা হত, তাহলে এভাবে ছড়িয়ে পড়ত না করোনা, বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। বিএসএফ ১৩৮ ব্যাটেলিয়ানের কম্যান্ডেন্টকেও বদলি করা হয়েছে।
বিপ্লব দেব বলেন যে রাজ্যে যারা আসছেন প্রত্যেকের পরীক্ষা করার চেষ্টা করছেন তাঁরা। একই সঙ্গে তিনি বলেন যে গ্রামের মানুষ কোয়ারেন্টাইন বিধি নিয়ে খুব সচেতন। এক বরিষ্ঠ বিএসএফ কর্তা বলেন যে করোনা মহামারী শুরু হওয়ার পর খুবই সতর্ক তারা। কোনও ভাবেই অসামরিক ব্যক্তিদের সঙ্গে সংস্পর্শ এড়িয়ে চলছেন তাঁরা। পিটি ইত্যাদিও করা হচ্ছে না সংক্রমণ ছড়ানোর ভয়। তবে বিপ্লব দেবের বক্তব্য সম্বন্ধে কিছু বলতে চান নি তিনি।