ভারতে Covid-19 আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশই পুরুষ। মৃতদের মধ্যে অন্তত অর্ধেক রোগী ষাটোর্ধ্ব। এই তথ্য জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
মন্ত্রকের হিসেবে গত ৩০ এপ্রিল দুপুর পর্যন্ত করোনা সংক্রমণে মৃত ১,০৭৪ জনের মধ্যে ৬৫% পুরুষ। এর থেকেই স্পষ্ট, অতিমারিতে মহিলাদের তুলনায় বেশি বিপদে রয়েছেন পুরুষ রোগীরা।
গত ২২ এপ্রিল জার্নাল অউ দ্য আমেরিকান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন-এ প্রকাশিত গবেষণা বলছে, নিু ইয়র্ক শহরের ১২টি হাসপাতালে বরতি ৫,৭০০ জন করোনা রোগীর মধ্যে ৬০% পুরুষ এবং আইসিইউ বিভাগে ভরতি ৩৭৩ জন রোগীর ৬৬.৫% পুরুষ। দেখা গিয়েছে, তাঁদের সকলেরই ডায়াবিটিস, হাইপারটেনশন, কিডনির সমস্যা অথবা ওজনবৃদ্ধির মতো পুরনো অসুখ রয়েছে।
চিকিৎসকদের মতে, সংক্রমণে মৃতদের ৭৮% পুরনো শারীরিক ব্যাধিতে ভুগছিলেন এবং ৫১.২% ষাটোর্ধ্ব। আবার তাঁদের মধ্যে ৪২% রোগীর বয়স ৬০ থেকে ৭৫ বছরের মধ্যে, এবং ৯.২% রোগী ৭৫ বছরের বেশি বয়েসি।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যুগ্মসচিব লব আগরওয়াল জানিয়েছেন, পরিসংখ্যানে পরিষ্কার যে, পুরনো শারীরিক সমস্যায় আক্রান্তদের মধ্যে ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে করোনাভাইরাস সংক্রমণ। তবে তিনি জানিয়েছেন, ভারতে করোনা আক্রান্তদের মাত্র ৩.২% মারা গিয়েছেন। তুলনায় বিশ্বব্যাপী এই সংক্রমণে মৃতের হার ৭.৮%। সবচেয়ে দুরবস্থা ইতালির, যেখানে মৃতের হার ১৩.৬০%।
দিল্লির মূলচন্দ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান শ্রীকান্ত শর্মার মতে, করোনা সংক্রমণে বয়স্ক মৃত্যুর হার বেশি কারণ তাঁদের বেশিরভাগই পুরনো অসুখে ভুগছিলেন। এর জেরে তাঁদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে এবং করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ব্যর্থ হয়। তাঁদের শরীরে উন্নত মানের অ্যান্টিবডি তৈরি হতে পারে না।
অন্য দিকে, ভারতে মোট ৩৩,০৫০ আক্রান্তের মধ্যে ৮,৩২৪ জন রোগী সুস্থ হয়েছেন, অর্থাৎ করোনায় সুস্থ হওয়ার হার এ দেশে ২৫.১৯%। রোগীর সংখ্যা দ্বিগুণ হওয়ার সময়ও ৩.৪ দিন থেকে বেড়ে ১১ দিন হয়েছে।