আমেরিকার ভেন্টিলেটর দানের সিদ্ধান্তে যথেষ্ট অবাক হয়েছে ভারত। সেই আবহের মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অপর একটি মন্তব্যে রীতিমতো উৎফুল্ল ভারত এবং আমেরিকা।
ভারতীয় সময় অনুযায়ী গতরাতে একটি টুইটবার্তায় ট্রাম্প বলেন, 'আমি গর্বের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে আমেরিকা আমাদের বন্ধু ভারতকে ভেন্টিলেটর দান করবে। এই মহামারীর সময় আমরা ভারত এবং নরেন্দ্র মোদীর পাশে রয়েছি। প্রতিষেধক তৈরির ক্ষেত্রেও আমরা পারস্পরিক সহযোগিতা করছি। একসঙ্গে আমরা এই অদৃশ্য শত্রুকে ধ্বংস করব।'
ট্রাম্পের সেই ঘোষণা অবাক হয় নয়াদিল্লি। কারণ ওয়াশিংটনের থেকে ভেন্টিলেটর চায়নি ভারত। সেই টুইটবার্তার কিছুক্ষণ আগে সাংবাদিক বৈঠকে ভারত নিয়ে সরাসরি প্রশ্নের জবাবেও এ বিষয়ে ট্রাম্প কোনও উচ্চবাচ্য করেননি। আপাতত ভেন্টিলেটরের সংখ্যা এবং কবে তা পাঠানো হবে, সে বিষয়ে আমেরিকার থেকে আরও তথ্য চেয়েছে ভারত।
নয়াদিল্লির ধারণা, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে দু'দেশের পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিচ্ছে ট্রাম্পের ভেন্টিলেশন প্রদানের সিদ্ধান্ত। তবে সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশের মতে, হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন রফতানির উপর থেকে ভারত বাধানিষেধ তুলে নেওয়ার ধন্যবাদস্বরূপ ভেন্টিলেটর পাঠাচ্ছে আমেরিকা।
তবে 'বিনা মেঘে বজ্রপাত'-এর মতো ভেন্টিলেটর পাঠানোর থেকেও 'পারস্পরিক সহযোগিতায় প্রতিষেধক তৈরি' নিয়ে ট্রাম্পের ঘোষণায় বেশি গুরুত্ব আরোপ করছে ভারত। আপাতত দু'দেশের মধ্যে ভিন্ন দ্বিপাক্ষিক প্রকল্পে তিনটি প্রতিষেধক তৈরির প্রক্রিয়া চলছে। তাতে রয়েছে ভারতের দুটি প্রথমসারির ফার্মাকিউটিক্যাল সংস্থা এবং আমেরিকার তরফে রয়েছে দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা বিভাগ ও একটি বায়োটেকনোলজি সংস্থা। গত কয়েক সপ্তাহের মধ্য সেই প্রতিষেধক সংক্রান্ত শুরু হয়েছে। ট্রাম্পের ঘোষণায় সেই যৌথ উদ্যোগ আরও বলে পাবে বলে ধারণা ভারতের।
ট্রাম্পের টুইটের কয়েক ঘণ্টা পর প্রেসিডেন্টের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের তরফে একটি টুইটবার্তায় করোনা প্রতিষেধক তৈরিতে দু'দেশের পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়টি আরও পরিষ্কারভাবে জানানো হয়। বলা হয়, ‘করোনার বিরুদ্ধে লড়াই এবং প্রতিষেধক খুঁজে বের করতে আমেরিকা এবং ভারত একসঙ্গে কাজ করছে। আমেরিকা ও ভারতের কৌশগলগত সহযোগিতা কখনও এত শক্তিশালী হয়নি।