করোনাভাইরাসের আতুরঘরে আত্মপ্রকাশ করল কোভিড ভ্যাক্সিন। এই প্রথম তাদের তৈরি কোভিড টিকার কথা আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রকাশ করল চিন। গত সপ্তাহে বেজিংয়ের এক বাণিজ্য মেলায় প্রদর্শিত হল চিনা সংস্থার তৈরি টিকার ছোট ছোট ভায়াল, যা ঘিরে অতিমারীর প্রকোপ কমার আশা জাগল।
বর্তমানে পরীক্ষার পর্যায়ে রয়েছে চিনা সংস্থা সাইনোভ্যাক বায়োটেক ও সাইনোফার্ম-এর তৈরি এই টিকা। আশা করা যাচ্ছে, চলতি বছরের শেষ ভাগে তিন পর্যায়ের ট্রায়াল সম্পূর্ণ হলে টিকা বাজারজাত করার প্রয়োজনীয় অনুমোদন পাবে দুই সংস্থা।
সংবাদমাধ্যমকে সাইনোভ্যাক-এর মুখপাত্র জানিয়েছেন, প্রতি বছর ৩০ কোটি টিকার ডোজ উৎপাদনে সক্ষম কারখানা গড়ার কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে।
নভেল করোনাভাইরাসের উৎপত্তি এবং সংক্রমণ রোখার ব্যর্থতার কারণে আন্তর্জাতিক মঞ্চে চিনকে তীব্র সমালোচনার শিকার হতে হয়েছে। এবার কোভিড টিকা তৈরি করে সেই কলঙ্ক কিছুটা মুছে ফেলার চেষ্টায় রয়েছে বেজিং।
গত মে মাসে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বিশ্ববাসীর উপকারে চিনে কোভিড ভ্যাক্সিন তৈরির প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন। এই মুহূর্তে গোটা বিশ্বে কমপক্ষে ১০টি সম্ভাব্য কোভিড ভ্যাক্সিন চূড়ান্ত পর্যায়ের পরীক্ষার সম্মুখীন। সফল হলে চলতি বছরের শেষে অতিমারীকে বশ করার সূত্র পেয়ে যাবে বিশ্ব।
চিনে তৈরি কোভিড টিকার দাম সস্তা রাখা হবে বলে জানিয়েছে সাইনোফার্ম। তাদের তৈরি ভ্যাক্সিন রোগীর দেহে যে অ্যান্টিবডি উৎপাদন করবে, তার মেয়াদ এক থেকে তিন বছর পর্যন্ত থাকবে বলে দাবি করেছে সংস্থা।
অন্য দিকে, সম্প্রতি চিনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক দাবি করেছে, তাদের তৈরি অন্য একটি টিকা করোনাভাইরাসের বিবর্তন ঠেকাতে সক্ষম হবে।
তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) দাবি করেছে, আগামী বছরের মাঝামাঝির আগে বিশ্বে কোভিড ভ্যাক্সিন সুলভ হওয়ার বিশেষ আশা নেই।