কোভ্যাক্সিনের (Covaxin) তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে দিল্লির এইমসকে। সেখানে ‘ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেন্ট’-এর পরীক্ষা-নিরীক্ষার চালানোর জন্য আগামী সপ্তাহের গোড়ার দিকে অনুমোদন চাইতে চলেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ইনস্টিটিউট অফ এথিকস কমিটির কাছে সেই প্রস্তাব জমা দেওয়া হবে।
ইতিমধ্যে ভারতের প্রথম করোনাভাইরাসের ‘ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেন্ট’-এর তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শুরুর জন্য সবুজ সংকেত দিয়েছে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই)। দেশের ১৩-১৪ টি রাজ্যের ২৫-৩০ টি জায়গায় সেই সম্ভাব্য টিকার ট্রায়াল চলবে। তার মধ্যে আছে দিল্লির এইমসও।
করোনা টিকা সংক্রান্ত যাবতীয় খবর দেখুন এখানে
অনুমোদনের বিষয়টি নিশ্চিত করে দিল্লির এইমসের কমিউনিটি মেডিসিনের অধ্যাপক সঞ্জয় রাই বলেন, ‘তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের জন্য প্রস্তাব তৈরি করা হচ্ছে এবং অনুমোদনের জন্য আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ইনস্টিটিউট অফ এথিকস কমিটির কাছে তা জমা দেব আ্মরা।’
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের (আইসিএমআর) নিয়ম অনুযায়ী, ট্রায়াল শুরুর আগে একটি এথিকস কমিটির অনুমোদন প্রয়োজন। যে কমিটি ক্নিনিকাল গবেষণা খতিয়ে দেখবে এবং যে জায়গার ট্রায়ালের অনুমোদন চাওয়া হয়েছে, তাদের প্রস্তাব খুঁটিয়ে পর্যবেক্ষণ করবে। তারপর ট্রায়াল শুরুর অনুমোদন মিলবে। এইমসের এথিকস কমিটিতে ১৫ জন সদস্য আছে। সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা, অনুমোদনের জন্য ১০-১৪ দিন সময় লাগবে।
কোভ্যাক্সিনের যাবতীয় আপডেট দেখুন এখানে
অধ্যাপক রাই বলেন, ‘প্রস্তাবটি কমপক্ষে ২০০-৩০০ পৃষ্ঠার হবে। তা ভালোভাবে খতিয়ে দেখার জন্য সময় লাগবে। মূল বিষয়টি হল যে সেই প্রস্তাবের পর্যালোচনা করা। যদি কোনও ফাঁকফোকর থাকে, তার সমাধান করা। সাধারণত যে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়, তা প্রায় সবসময়ই বৈধ হয়। যা হয়তো অন্যভাবেম নজর এড়িয়ে যেত। এটা সাহায্য করে।’
বিশেষজ্ঞদের মতে, টিকার সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হল তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল। সেই পর্যায়ের উপর টিকার কার্যকারিতা নির্ভর করবে। দিল্লির এইমসের পালোমানারি মেডিসিন বিভাগের প্রাক্তন প্রধান জি সি কুলকার্নি বলেন, ‘তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের নির্ভর করে যে কোনও টিকা কার্যকরী হবে এবং কোনটি কাজে দেবে না।’