চিনে চিকিৎসা চলছে রোগীদের। সংগৃহীত ছবি। টুইটার
কোভিড নিয়ে নতুন করে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ মাথাচাড়া দিচ্ছে। আর চিনের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে নানা ধরনের খবর সামনে আসতে শুরু করেছে। নেট মাধ্যমে ঘুরছে নানা ভিডিয়ো। আর সেই ভিডিয়ো একেবারে শিউরে ওঠার মতো। সূত্রের খবর, কোভিডের সবথেকে বিপজ্জনক সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে চিন। কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা একেবারে হু হু করে বাড়ছে। মৃত্যুর সংখ্য়া নিয়েও উদ্বেগ ছড়াচ্ছে ক্রমশ।
কিন্তু চিনের কোভিড পরিস্থিতির বর্তমান ছবিকে ঘিরে অনেকটাই ধোঁয়াশা রয়েছে। আসলে ছবিটা কতটা বিপজ্জনক, কতজনের মৃত্যু হয়েছে তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত সরাসরি কিছু জানা যাচ্ছে না। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওয়েবসাইটে ৩১,৫৮৫জনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ২৮,৪৯৩জন নতুন আক্রান্তের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু প্রকৃত ছবি আরও কতটা ভয়াবহ তা এখনও পরিষ্কার নয়।
এদিকে আল জাজিরা রিপোর্ট অনুসারে চিনের একাধিক শহরে আক্রান্তের সংখ্য়া ক্রমশ বাড়ছে। হাসপাতালগুলিতে একেবারে ঠাঁই নেই অবস্থা। শ্মশানে দেহ উপচে পড়ছে। ওষুধের বিক্রি হু হু করে বাড়ছে। তবে বেজিং কার্যত স্বীকার করে নিয়েছে, এই কোভিডের প্রকোপ এখনই মাপা সম্ভব নয়। কারণ দেশ জুড়ে গণ পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অর্থাৎ কোভিড পরিস্থিতি কতটা বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে তা খতিয়ে দেখার জন্য় একেবারে গণহারে কোভিড পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারপরই বোঝা যাবে পরিস্থিতির আসল চিত্র।
সূত্রের খবর, ছোট শহরগুলিতে সবথেকে ছড়িয়েছে করোনা। একাধিক জরুরি ওয়ার্ডে রোগীদের ভিড় সামলাতে হিমসিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে মেঝেতে রেখে চিকিৎসা করতে হচ্ছে রোগীদের।
বেজিংয়ের চিকিৎসক হাওয়ার্ড বার্নস্টেন রয়টার্সকে জানিয়েছেন, গোটা হাসপাতাল আগাগোড়া একেবারে ভর্তি হয়ে গিয়েছে। আইসিইউ একেবারে ভর্তি হয়ে গিয়েছে। হাসপাতালে প্রচুর রোগীকে ভর্তি করা হয়েছে। দুতিন দিনে তারা ভালো হচ্ছেন না। হাসাপাতালের দোতলার রুমেও যাওয়া যাচ্ছে না।
এদিকে একটি ছবিতে দেখা গিয়েছে, হাসপাতালের আইসিইউতে মেঝেতে চিকিৎসা করানো হচ্ছে রোগীদের। দেখা যাচ্ছে রোগীদের চিকিৎসা হচ্ছে মেঝেতে। দেখা যাচ্ছে বেডের অভাবের কারণে মেঝেতে চিকিৎসা করানো হচ্ছে রোগীদের। দুজন চিকিৎসক রোগীর চিকিৎসা করছেন।
অন্যদিকে শ্মশানের বাইরে লম্বা লাইন দেখা যাচ্ছে। একেবারে শিউরে ওঠা ছবি। তবে এই বাস্তবতার ছবিকে অবশ্য় ঢেকে রাখার চেষ্টা করছে সেখানকার সরকার। এমনটাই খবর।
এদিকে চিনের বিমানবন্দরে দেখা যাচ্ছে সেখানেই ভিড়ের ছবি। আসলে দেশ ছেড়়ে চলে যেতে চাইছেন অনেকেই।