ইতিমধ্যে দেশে শুরু হয়ে গিয়েছে করোনাভাইরাসের টিকাকরণের দ্বিতীয় পর্যায়। এই পর্যায়ে ষাটোর্ধ্ব এবং ৪৫-৫৯ বছর পর্যন্ত কো-মর্বিডিটি থাকা মানুষদের সরকারি এবং বেসরকারি কেন্দ্র থেকে টিকা প্রদান করা হবে। সেজন্য আগেভাগে উপভোক্তাদের রেজিস্ট্রার করতে হবে। একনজরে দেখে নিন কীভাবে টিকা নেওয়ার জন্য নাম নথিভুক্ত করতে হবে, কী প্রক্রিয়া মেনে চলতে হবে, কোন কোন কো-মর্বিডিটি থাকলে টিকা মিলবে দেখে নিন একনজরে -
হার্ট ফেলিয়োর নিয়ে গত এক বছর ধরে হাসপাতালে ভরতি, পোস্ট কার্ডিয়াক ট্রা্ন্সপ্ল্যান্ট বা লেফট ভেন্ট্রিকুলার অ্যাসিস্ট ডিভাইস, ডায়াবেটিস (১০ বছরের বেশি বা জটিলতা-সহ) এবং চিকিৎসা চলতে থাকা উচ্চ রক্তচাপ, ব্লাড ক্যানসার বা মায়েলোমা বা লিম্ফোমা, গুরুতর শ্বাসকষ্টজনিত অসুস্থতা গত দু'বছরে হাসপাতালে ভরতি (FEV1<50%), পাকস্থলীর জটিল রোগ বা জটিল সিরোসিস-সহ ২০ টি কো-মর্বিডিটি থাকলে দ্বিতীয় দফায় ৪৫-৫৯ বছরের মানুষরা টিকা পাবেন। তাঁদের মেডিক্যাল সার্টিফিকেট নিয়ে টিকাকরণ কেন্দ্রে যেতে হবে।
সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে টিকা প্রদান করা হবে। বেসরকারি হাসপাতালের ক্ষেত্রে টিকার দাম ১৫০ টাকা ও পরিষেবার খরচ খাতে সর্বোচ্চ ১০০ টাকা নেওয়া যাবে।
টিকা নেওয়ার জন্য সকাল ৯ টা থেকে 'কো-উইন ২.০' অ্যাপ (Co-Win app) বা ‘কো-উইন’ পোর্টালে রেজিস্ট্রেশনের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে। এখানে ক্লিক করে দেখে নিন বিস্তারিত পদ্ধতি।
প্রতিদিন দুপুর তিনটে পর্যন্ত টিকাকরণ কেন্দ্র থেকে প্রতিষেধক প্রদান করা হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য প্রকল্প এবং আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প মিলিয়ে ১৬,০০০-এক বেশি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে টিকা প্রদান করা হবে। পশ্চিমবঙ্গের কপালে জুটেছে মাত্র ১১ টি বেসরকারি হাসপাতাল। (বাংলার কোন কোন বেসরকারি হাসপাতালে সোমবার থেকে করোনা টিকা পাবেন? দেখুন তালিকা)
করোনাভাইরাস টিকার প্রথম ডোজ পাওয়ার পর ডিজিটাল কিউআর-নির্ভর একটি শংসাপত্র দেওয়া হবে। দ্বিতীয় তথা চূড়ান্ত ডোজের পরও দেওয়া হবে সার্টিফিকেট।
২৮ দিনের ব্যবধানে দুটি ডোজ প্রদান করা হবে।