আগামী ৩০ ও ৩১ অক্টোবর সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক বসতে চলেছে। এখানে আগামী বিধানসভা ভোটে বাংলার আসন সমঝোতা নিয়ে এখানে আলোচনা হবে। কংগ্রেসকে কতটা আসন ছাড়া যাবে আর কতটা আসনে লড়াই করা হবে তা ঠিক করা হবে। দলের সর্বোচ্চ নীতি–নির্ধারক কমিটির বৈঠকে বিহার নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হবে। এবার সিপিএম বিহার নির্বাচনে অন্যান্য বাম দলের এবং কংগ্রেস–আরজেডি’র সঙ্গী হতে চলেছে।
ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে সিপিএমের দুই পলিটব্যুরো সদস্য নিজেদের মধ্যে প্রাথমিক আলোচনা সেরে নিয়েছেন। যা কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে তুলে ধরা হবে। সেখানে আলোচনার পর একটা প্রস্তাব যাবে কংগ্রেসের কাছে। সেটা যদিও প্রাথমিক প্রস্তাব বলে সিপিএম সূত্রে খবর। এই প্রস্তাবে থাকবে আসনবন্টনের বিষয় এবং নির্বাচনে স্ট্র্যাটেজিক প্রস্তাবও।
বিহার নির্বাচনের পর সেই প্রস্তাব কংগ্রেসের কাছে যাবে বলে খবর। ইতিমধ্যেই এক দফা সমঝোতা বৈঠকে দুই নেতৃত্বের মধ্যে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এমনকী মেজাজ হারান বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। অধীর–বিমান তরজায় সেই বৈঠক তিক্ততায় পৌঁছয়। ইতিমধ্যেই একাধিক তৃণমূল বিরোধী সভা–সমাবেশ করা হয়েছে। বামফ্রন্ট–কংগ্রেস মিটিং–মিছিল হয়েছে রাজ্যে। তবে আসন বন্টন নিয়ে সমঝোতার জন্য কংগ্রেস হাইকমান্ডের সবুজ সংকেতের অপেক্ষা করছে সিপিএম নেতৃত্ব। কারণ ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে সিপিএম জোট চেয়েছিল কংগ্রেসের সঙ্গে। কিন্তু তা বাস্তবে হয়ে ওঠেনি।
এক প্রথমসারির সিপিএম নেতা জানান, এখন দেখা যাক কংগ্রেস জোট নিয়ে উৎসাহ দেখায় কিনা। আমরা আসন বন্টন নিয়ে আলোচনা করব। তবে আদর্শগত দিক থেকে আমরা পুরোপুরি জোটে যাব না। উল্লেখ্য, শেষ পার্টি কংগ্রেসে সিদ্ধান্ত হয়েছিল কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে লড়াই করা হবে।